অনলাইন ডেস্ক : ৯ নভেম্বর ২০২৪ , ৭:০১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
৪৩ লাখ কার্ড বাতিল নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল টিসিবির মুখপাত্র
অনিয়মের কারণে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৪৩ লাখ বাতিল করা হয়েছে—এই মর্মে বক্তব্য দেওয়ার পর সেই বিষয়ে নতুন করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির। তিনি দাবি করেছেন, কার্ড বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়।
তেঁজগাওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আজ শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির কার্ড বাতিলের তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের যে হাতে লেখা এক কোটি পরিবার ছিল, এই এক কোটির পরিবারের ডাটাবেজটা যখন এনআইডিতে ইন্ট্রিগ্রেশন করেছি অর্থাৎ এনআইডির মাধ্যমে ভেরিফাই করার পরে দেখা গেছে, একই ব্যক্তি হয়তো অন্য জায়গা থেকে কার্ড করেছেন। এজন্য কার্ডগুলো এনআইডির বিপরীতে ইন্ট্রিগ্রেশন করার পরে ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে। অর্থাৎ ৪৩ লাখ কার্ডের কোনো না কোনো সমস্যা ছিল।’
টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিলটিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল
তাঁর এই বক্তব্যের পর ‘টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এরপর হুমায়ুন কবির একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এখন তথ্য হালনাগাদ ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে যদি কোনো কার্ডে অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে, সেই কার্ড বাতিল করা হবে।’ তিনি বলেন, এখন এক কোটি কার্ডধারী সবাইকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
কার্ডগুলোকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তরে তথ্য হালনাগাদ করার জন্য টিসিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘কার্ডধারীদের তথ্য পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জনসহ (যদি প্রয়োজন হয়) হালনাগাদ বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনে সাম্প্রতিক রদবদলের কারণে টিসিবির হাতে এসব তথ্য এখনো আসেনি। সে জন্য বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সময় লাগছে। এখন পুরোনো কার্ডেই পরিবারগুলোর কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।’