জাতীয়

অধিকার ছাড় দিয়ে ভারতের কোনো অধিকার কে আমরা মেনে নিবোনা-ড.সালেহ

  মারুফ হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ২২ আগস্ট ২০২৪ , ৪:০২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতের সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের সম্পর্ক হবে মর্যাদার ভিত্তিতে। আমাদের অধিকার ছাড় দিয়ে ভারতের কোনো অধিকার কে আমরা মেনে নিবোনা। আমার অধিকার ভারত রক্ষা করবে, আমরাও ভারতের অধিকারের সুরক্ষা দিবো।

বৃহস্পতিবার(২২আগস্ট) সকালে রাবি প্রধান ফটকের সামনে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.সালেহ হাসান নকিব।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক শান্তির জন্য অপরিহার্য।কিন্তু এই সুসম্পর্ক হতে হবে দ্বিপক্ষিক। আমাদের বিগত যে স্বৈরাচারী সরকার ছিলো তারা এই সম্পর্কের জায়গাটিকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গিয়েছে। তারা যেটা করেছে সেটা হচ্ছে একটা অত্যন্ত নাদ গামী পররাষ্ট্রনীতি এবং একইসাথে বাংলাদেশকে ভারতের একটি অলিখিত কলোনিতে পরিনত করেছিল।এই জঘন্যতম কাজটি করেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে। তারা যে কতবড় প্রতারক ছিলো এটা দ্বারাই বুঝা যায় যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো আধিপত্যবাদ মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আধিপত্যবাদ কে মেনে নেওয়ার জন্য এই জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেনি।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ এ স্বাধীন বাংলাদেশের একটাই শক্তি আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমাদের ছাত্রসমাজ আর কোনো ভারত পন্থার খবর নিতে চায়না।কোনো পাকিস্তান পন্থার খবর নিতে চায়না। আমাদের একটাই পন্থা,বাংলাদেশ পন্থা।এদেশের ১৭কোটি মানুষ এখন বাংলাদেশ পন্থী। ভারতকে পরিষ্কার ভাবে বুঝতে হবে আমাদের অশান্তিতে রেখে ভারতের শান্তিতে থাকার কোনো উপায় নেই।মোদি সরকার কে বুঝতে হবে সে কি শেখ হাসিনার বন্ধু হয়ে থাকতে চায় নাকি বাংলাদেশের বন্ধু হয়ে থাকতে চায়। সে যদি শেখ হাসিনার বন্ধুত্বকে বেছে নেয় তাহলে তার বাংলাদেশের জনগণের শত্রুতা কে বেছে নিতে হবে।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখার আলম মাসুদ বলেন, ভারত এমন একটা রাষ্ট্র যার কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক নাই। মুসলিম, বৌদ্ধ এমনকি হিন্দু রাষ্ট্রের সাথেও তার সুসম্পর্ক নেই। এই স্বৈরাচার সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রটি আমাদের শোষণ করে আসছে আর তার অন্যতম শোষণ হলো পানির মাধ্যমে। গত রাত থেকে তাদের যে বাধগুলো রয়েছে তা খুলে দিয়েছে।আর তা ৩১ বছর পর পরিকল্পিতভাবেই ছেড়েছে। রাজনৈতিক ভাবে তারা না পেরে, এদেশকে ডুবানোর জন্য তাদের এই পদক্ষেপ। তাদের এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে আমাদের দেশপ্রেমিক তরুণ ছাত্রসমাজ ও আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

রাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, আমরা যেহেতু বাচতে শিখেছি, আমরা বাচার মতোই বাঁঁচবো।২৪ এর এই ছাত্রসমাজ ভারতের আধিপত্য কে মেনে নিবেনা।আমরা যে অধিকার এর জন্য মাঠে নেমেছি,সেই অধিকার আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো।

আন্দোলনে বিভিন্ন কলেজ স্কুল থেকে আসা প্রায় সহস্রাধিক আন্দোলনকারী অংশ নেয়।