uadmin ৩১ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:৪০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আরও ২৬ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে গাজার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। সোমবার সংস্থাটি বলেছে যে, মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় উপত্যকায় প্রবেশ করেছে এসব ট্রাক।
সোমবার গাজার মানবিক সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে যে, আমরা আজ সন্ধ্যায় মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছ থেকে রাফাহ ক্রসিংয়ের মাধ্যমে ২৬টি সহায়তা ট্রাক পেয়েছি। এগুলোতে খাদ্য সামগ্রী এবং চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে।
আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানি ব্যতীত মোট ১৪৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘ বলছে, সর্বশেষ সংঘাতের আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ ট্রাক গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করত। কিন্তু ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবই থেমে যায়। এর ফলে সেখানে খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২৩ লাখ মানুষকে মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রয়োজন।
ইসরায়েল গাজায় সর্বত্মক অবরোধ আরোপ করেছে। এমন অবস্থায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ হাসপাতালগুলো জেনারেটরের মাধ্যমে চলছে। বেশিরভাগ হাসপাতালই জ্বালানি সংকটে ভুগছে। এমন অবস্থায়ও গাজায় এখন পর্যন্ত কোনও জ্বালানী সরবরাহ করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশু। এছাড়া এ বর্বর হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯ হাজার ৭৩৪ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় হাজার হাজার ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশাল অবরুদ্ধ এই উপত্যকার অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান জোরদার করছে। সেখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে।