এস এম রাফি ১৮ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:৪৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ১২ দিন পর যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান। গুতেরেস বলেন, গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার গাজায় একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫০০ জন নিহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোপের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের পরই হাসপাতালে হামলার তীব্র নিন্দা জানান জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। এ হামলাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করে দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেন, এভাবে সাধারণ মানুষ হত্যা মানবতার জন্য কলঙ্কজনক।
হাসপাতালে হামলা ইসরায়েলি বাহিনীর জঘন্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে, তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, ন্যুনতম মানবিক মূল্যবোধের তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ইসরায়েলকে ভুয়া রাষ্ট্র অভিহিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতার ঐক্য গড়ে তোলার সময় এসেছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার, সিরিয়া, মিসরও।
গাজা উপত্যকার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। টিভিতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় তিনি হতভম্ব। এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালানোর পর হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ ঘোষণায় সমর্থন দেয় আমেরিকা। দেশটির অভিযোগ, অন্তত ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা।
ইসরায়েল–হামাস সংঘাতে নিহত বেড়ে ৪ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজারই ফিলিস্তিনি। গাজা থেকে অন্যত্র সরে গেছেন লাখো বাসিন্দা।