এস এম রাফি ২৮ জুলাই ২০২৩ , ১০:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ইউরোপীয় ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতানো ফুটবলারদের একে একে নিজেদের লিগে যুক্ত করছে সৌদি আরব। সেই তালিকায় এবার নাম তুললেন লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের তারকা ফরোয়ার্ড সাদিও মানে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গেই তিনি জুটি বাধতে যাচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে চলা গুঞ্জন সত্যি করে তিনি পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন আল-নাসরকে।
এর আগে লিভারপুলের হয়ে সব জেতার পর নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে বায়ার্ন মিউনিখে গিয়েছিলেন সেনেগালের প্রধান তারকা মানে। কিন্তু বায়ার্নের হয়ে নিজের প্রথম মৌসুমে তিনি তেমন কিছুই করতে পারেননি।
তারপরই শোনা যায়, বায়ার্নের হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি সুযোগও পাচ্ছেন না এই ফরোয়ার্ড। জার্মান চ্যাম্পিয়নরা জানিয়ে দেয় তারা আর মানেকে রাখতে চায় না। সেই সময় একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, ২ কোটি ইউরো পেলেই মানেকে ছেড়ে দেবে বায়ার্ন।
সেই খবরের পরই নড়েচড়ে বসে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। তার পরই মানের প্রতিনিধি নাকি আল নাসর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখাও করেন। সেই জল্পনা অবশেষে বাস্তবে দেখা মিলল। দলবদলের খবরের জন্য বিখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মানের বিষয়ে বায়ার্ন-আল নাসরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সৌদি ক্লাবের দেওয়া মৌখিক প্রস্তাব বায়ার্ন মেনে নিয়েছে গতকাল। কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে মেডিকেল টেস্ট এবং সম্পূর্ণ চুক্তিতে মানে সাইন করবেন।’
তবে মানের জন্য আল-নাসরের খরচ এবং চুক্তির মেয়াদ নিয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। ২০২২ সালে লিভারপুল থেকে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিয়েছিলেন মানে। শুরুর দিকে কিছুদিন ভালো গেলেও এরপর ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে তার।
মাঝে সতীর্থদের সঙ্গেও মানে বিবাদে জড়ান, একপর্যায়ে লেরয় সানেকে তিনি ঘুষিও মেরে বসেন। এরপর তাকে বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাভারিয়ানরা। অবশ্য বায়ার্নের হয়ে পুরো মৌসুম মাঠে ছিলেন না এই সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড, চোট তাকে ছিটকে দেয় সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপ থেকেও।
বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার আগে মানে দীর্ঘদিন খেলেছেন ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলে। কিন্তু নিজ দেশের সমর্থকের অনুরোধে লিভারপুল ছাড়েন তিনি। ২০১৬ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়া মানে ক্লাবের হয়ে জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ শিরোপা, এফএ কাপ, কারাবো কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।
মাঠের পারফরম্যান্সে গত মৌসুমে ৩৮ ম্যাচ খেলে মানে গোল করেছেন মাত্র ১২টি। তাছাড়া বেশির ভাগ ম্যাচে ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড তেমন কোনো প্রভাবও রাখতে পারেননি। এ সময়ের মধ্যে দামেও বেশ পতন হয়েছে তার। এক বছরে কমেছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো, দাম কমার হার ৬৪.৩ শতাংশ।