এস এম রাফি ১২ জুন ২০২৩ , ১১:২৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আশরাফুল ইসলাম,গাইবান্ধা:আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মাঠে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলোকে প্রচার প্রচারণায় দেখা না গেলেও ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে কোমরবেধে মাঠে নেমেছেন। ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বর্তমান দলীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও ষরযন্ত্র চালিয়ে পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এসব মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সংগঠনের পদ প্রত্যাশীরা। পক্ষান্তরের তারা দলের মনোনীত নির্বাচিত ব্যক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গিয়ে দলের ভার্বমূর্তিক্ষুণ করছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ক্ষমতাসীন দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।
গাইবান্ধা ৩ আসনের গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মরহুম ডাঃ ইউনুস আলী সরকার এমপি নির্বাচিত হয় এরপর তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়ায় উপ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। এরপর করোনা মহামারি ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও অল্প সময়ে প্রাপ্ত বরাদ্দে আসনটির দুইটি উপজেলা পলাশবাড়ী সাদুল্ল্যাপুর নির্বাচনী এলাকার রাস্তা,ঘাট,স্কুল কলেজ,মাদ্রাসা,মসজিদ মন্দিরের নতুন ভবন ও অন্যান্য উন্নয়ন হয়েছে। অনেকটা কমেছে মানুষের দীর্ঘদিনের র্দূূভোগ পাচ্ছেন চলমান প্রচলিত নাগরিক সুবিধা। অথচ এই নাগরিক সুবিধা ও র্দূভোগ নিয়ে করা হচ্ছে রাজনীতি আর এ রাজনীতিতে খোদ দলীয় অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ দিচ্ছেন করছেন মিথ্যাচার। সরকার যতটুকু বরাদ্দ দিবে ঠিক ততটুকু উন্নয়ন বুঝে নিবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু বরাদ্দ না আসলে বা প্রদান করলে একজন সংসদ সদস্য কোথা থেকে উন্নয়ন করবে। এই দুই উপজেলায় অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তারা এলাকার কি উন্নয়ন করেছেন সে বিষয়ে কথা তুলেছেন দুই উপজেলার তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।
পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা জানান, বিগত সময়ে আমরা কখনো এমপিদের দেখা পেতাম না তাদের দালালরা আমাদের এমপির নিকট যেতেই দিতো না। আর এখন স্মুতি এমপি যেন আমাদের পকেটেই আছে মোবাইলে কল করলে দেখাও যায় আর কথা তো হয় হরদম। আমরা আমাদের এলাকার নানা সমস্য ও সম্ভবণা নিয়ে আলোচনা করতে পারি যখন তখন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমুলের ভরসারস্থল আর এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি তৃণমুলের আস্থার প্রতিক হিসাবে দাড়িয়েছেন। তার সময় কালে তিনি কি উন্নয়ন করছেন তা সরেজমিনে প্রমাণ রয়েছে । তবে দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ করে তিনি ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসাবে দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতিকে পরিণত হয়েছেন। তারা আরো বলেন, বিগদ সময় হতে অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এই দুই উপজেলা জনপ্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা কতদিন তৃণমুলের নেতাকর্মীর খোজ করেছেন আর তাদের সময়ে বরাদ্দে বাহিরে কি উন্নয়ন হয়েছে তা আগে আমাদের জানা দরকার। যে যাই বলুক আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে আবারো ব্যাপক ভোট পেয়ে নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হবে এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।
দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ দাবী করেন বিগত সময়ে চেয়ে ব্যাপক শক্তিশালী একটি সংগঠন কৃষকলীগ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তৃণমুলের নেতাকর্মীদের নিকট ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
তৃণমুল থেকে উঠে আসা এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, কে কি সমালোচনা করলো তা আমি ভাবি না আমার নির্বাচনী এলাকা ও সারাদেশের কৃষকলীগের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ করবো যতদিন দায়িত্বে থাকবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন জীবন দিয়ে হলেও তা পালন করে যাবো।
উল্লেখ্য, ৩২ গাইবান্ধা ৩ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪ শত ৯৭ জন । এদের মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩ শত ৭৬ জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ১ শত ৩ জন। এছাড়াও তৃতীয লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন মোট ১৮ জন। গত ১৯৯১ সাল হতে ২০১৮ পর্যন্ত এ আসনটিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ৩ বার ,জাতীয় পার্টি ৪ বার ও বিএনপি ১ বার জয়লাভ করেন।