এস এম রাফি ২০ আগস্ট ২০২৩ , ১০:১৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ছোটদের মনের একটা বড় অংশ দখল করে রাখে টিভির একাধিক কার্টুন চরিত্র। এমনিতে কার্টুন দেখলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে কিছু কিছু শিশুকে গ্রাস করে রাখে ‘কার্টুন অ্যাডিকশন’।
এমন শিশুরা কার্টুন না দেখলে খেতে চায় না, পড়তে চায় না, কোনো কথাও শুনতে চায় না। তাদেরকে কার্টুন দেখতে নিষেধ করা হলেই শুরু করে দেয় চিৎকার। এমন হলে তা চিন্তার বিষয়ই বটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিক সময়ে এই সমস্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কার্টুনের নেশায় সন্তানের পড়াশোনা তো বটেই, সামাজিক দক্ষতা অর্জনও কঠিন হয়ে পড়বে।
কঙ্গনার প্রশংসায় সালমানের সাবেক প্রেমিকা
এ কারণে শিশু যদি কার্টুনের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে, তাহলে আর সময় নষ্ট না করে কিছু কৌশল অনুসরণ করুন। যেমন-
স্ক্রিন টাইম বেঁধে দিন: সবার প্রথমে সন্তানের স্ক্রিন টাইম বেঁধে দিতে হবে। সারাদিনে মাত্র ১ ঘণ্টা কার্টুন দেখার জন্য বরাদ্দ করুন। এতে দেখবেন তাদের কার্টুন প্রীতি অনেকটা কমে যাবে। তবে এটাও ঠিক, অধিকাংশ শিশুই প্রথমে এই নিয়ম মানতে চাইবে না। বিরক্ত করবে। কিন্তু এমন করলেও তাদের কথায় একদম কান দেয়া যাবে না।
গল্প বলতে বলতে খাওয়ান: একসময় মা-দাদি-নানিরা সন্তানদের খাওয়ানোর সময় রূপকথার নানা গল্প শোনাতেন। এইসব গল্পের অলিগলিতেই ভেসে বেড়াত শিশু মন। তাই সন্তানের কার্টুন প্রীতি কমাতে চাইলে তাকে খাওয়ানোর সময় অবশ্যই গল্প বলুন।
মাঠে বা খোলা জায়গায় নিয়ে যান: বাড়ির কাছাকাছি খোলা জায়গা থাকলে সময় করে শিশুদের সেখানে নিয়ে যান। তার বয়সী বাচ্চোদের সঙ্গে শিশুদের খেলতে দিন। এতেই দেখবেন তার কার্টুনের প্রতি ভালোবাসা কমবে। এমনকী তার সামাজিক দক্ষতাও কয়েকগুণ বাড়বে।
সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত করুন: সন্তানকে একদম ছোটবয়স থেকেই একাধিক সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে তার মনের বিকাশ হতে সময় লাগবে না। সন্তানকে ছবি আঁকা, গান বা নাচের মতো যে কোনও একটির সঙ্গে যুক্ত করে দিন। এ ধরনের সৃজনশীল কাজ তাকে কার্টুনের জগৎ ছেড়ে বের হতে সাহায্য করবে।
বুঝিয়ে বলতে ভুলবেন না: অধিকাংশ বাবা-মাই সন্তানকে বুঝিয়ে বলার পরিবর্তে কথায় কথায় অর্ডার দেওয়ায় বেশি বিশ্বাসী। আর এই কারণেই ছোটরাও বাবা-মায়ের কথা শুনতে চায় না। তাই সন্তানের ভালো চাইলে তাকে এবার থেকে অত্যধিক কার্টুন দেখার ক্ষতিকর দিকগুলি সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। একবারে কাজ না হলে বারবার বলতে হবে।