সারাদেশ

কুড়িগ্রাম-১ আসনে প্রচারণায় ব‍্যস্ত প্রার্থীরা

  ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৬:০৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১ (ভূরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী) আসনে পাঁচজন প্রার্থী অংশ নিলেও প্রচারের মাঠে দুই প্রার্থী ছাড়া অন্যদের দেখা মিলছে না। জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী প্রচার প্রচারণা ব‍্যস্ত সময় পার করলেও অন্য দুই প্রার্থীর প্রচারণা অনেকটা দায়সারা। এবং নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি থাকলেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (এক তারা প্রতীক ) এখনো নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু করেননি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় স‚ত্রে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪২৯ এবং ভ‚রুঙ্গারী উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ভোটার মোট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৪ জন। এই আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির আব্দুল হাই(গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কাজী লতিফুল কবীর রাসেল (ফুলের মালা) ন‍্যাশনাল পিপলস পাটির্র নুর মোহাম্মদ ( আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (এক তারা) সহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুই উপজেলার হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে জাতীয় পার্টি মনোনীত ও সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান লাঙ্গল এবং জাকের পার্টি মনোনীত আব্দুল হাই গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে আলোচনা চললেও অন্য প্রার্থীদের বিষয়ে অনেকেই খোঁজ-খবর নেন না। এই দুইজন বাদে অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে কোন অফিস বা গণসংযোগ চোখে পড়েনি।
ভ‚রুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভোটার মোস্তাক, রাজু ও মাহবুব জানান এই এলাকার মানুষ এই দুই প্রার্থী লাঙ্গল ও গোলাপ ফুল মার্কার পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনেছি আরো নাকি তিন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। তাদের আমরা কখনো দেখিনি এবং চিনিও না।
ভ‚রুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির জামান, রাসেল ও রনি জানান, এবার সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রথমবার ভোট দেব। শুনেছি এবার ৫ জন ভোটে দাড়িয়েছে। সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে চিনি। বাকি ৩ জনের নাম কখনো শুনিনি।
দায়সারা প্রচারণার বিষয়ে জানতে চাইলে
ন‍্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী নুর মোহাম্মদ ( আম মার্কা) জানান, আমরা তো নতুন তাই লোকে অতটা চেনে না। পরিচিত হতেই নির্বাচনে এসেছি। দুই উপজেলাতে পোস্টার লাগানো হয়েছে এবং মাইকিং করা হচ্ছে। তবে কোন জনসভা বা পথসভা করা হয়নি।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (এক তারা) জানান, ৬টি দল মিলে জোট করেছি। জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখনো জোটের কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। তাই নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা শুরু করতে পারিনি।
এবিষয়ে জানতে শনিবার রাতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত প্রার্থী কাজী লতিফুল কবীর রাসেল (ফুলের মালা প্রতীক) এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী (গোলাপ ফুল প্রতীক ) আব্দুল হাই জানান, প্রচারণা চালাতে গিয়ে একাধিক জায়গায় লাঙ্গল এর কর্মীদের বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। শনিবার রাতে নাগেশ্বরীর হাছনাবাদ ইউপিতে আমার নির্বাচনী জনসভায় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে। তবে আমার জয়ের ব‍্যাপারে আমি অনেকটাই নিশ্চিত।
আওয়ামীলীগ- বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় প্রচার প্রচারণায় অনেকটা নির্বার জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী (লাঙ্গল প্রতীক) ও সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম-১ আসনের লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে ৪ বার এমপি বানিয়েছে। এবারও জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচীত করবে ইনশাআল­াহ।
ভ‚রুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, এই আসনে ৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা শতভাগ আশাবাদী।