জাতীয়

গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতি, তথ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ

  এস এম রাফি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:৪৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‌‌যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দেবে কিংবা দেবে না তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু গণমাধ্যমকে ভিসানীতিতে আনা হলে তা হবে স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর অন্য দেশের হস্তক্ষেপ।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমু বলেন, মেলা কথা মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে। এটি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। তারা কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, কাকে ৫ বছর দেবে, কাকে ১ বছর দেবে বা কাকে দেবে না এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দেখলেন না, ভারতে কীভাবে সেলফি তুললেন জো বাইডেন? আবার নিউইয়র্কে কীভাবে নৈশভোজে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানালো? সেখানেও তো ছবি তুললো, সঙ্গে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও আছে। ছবিই তো কথা বলে। এখানে যারা ছবি আঁকো কিংবা চিত্রশিল্পী, তারা তো বলে ছবিই কথা বলে।

তিনি বলেন, ভিসানীতি একটি বিচ্ছিন্ন বিষয়। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের একটি কথায় আমি উদ্বিগ্ন। ‘ভিসানীতির আওতায় গণমাধ্যমও আসবে।’ আমাদের দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত স্বাধীন এবং স্বচ্ছভাবে কাজ করে। আমাদের দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী। স্বাধীন ও শক্তিশালী গণমাধ্যম সবসময় গণতন্ত্রের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা অন্য কাকে ভিসা দেবেন, না দেবেন- কিছু আসে যায় না। আপনারা কোন আওয়ামী লীগ নেতাকে ভিসা দিলেন কিংবা দিলেন না, কোন বিএনপি নেতাকে ভিসা দিলেন কি দিলেন না, এতেও কিছু আসে যায় না, আমরা কিছু মনে করি না। এটি আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু কেন গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি কার্যকর হবে, সেটি আমার বোধগম্য নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে সাংবাদিক থেকে কলামিষ্ট যারা যুক্ত আছেন, তারা মনে করছেন এটি আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ। অন্য কোনো দেশের আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করা সমীচিন নয়। এটি গণমাধ্যমের কর্মীরা, গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মেনে নিতে পারে না। আশা করব, তারা বিষয়টি ব্যাখা করবেন।

এর আগে, সকালে সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।