এস এম রাফি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:১৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আশরাফুল ইসলাম,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধা জেলার “পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ও গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর গরু চুরি রোধকল্পে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় ৫ জন আসামী গ্রেফতার এবং চোরাই ৫টি চোরাই গরু বহনকারী একটি পিক-আপ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আরো ৪ জনসহ মোট ৯ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে আজ শনিবার সকালে পলাশবাড়ী থানায় এক প্রেস কনফারেন্সে সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) দিবাকর অধিকারী, টিআই নুরে আলম সিদ্দিক, এসআই শফিকুল ইসলাম সহ থানা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যগণসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য ও সম্মানিত পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশের অপরাধ রোধকল্পে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ও গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গতকাল শুক্রবার রাত্রী সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় পলাশবাড়ী থানাধীন বরিশাল ইউপিস্থ দুবলাগাড়ী মৌজাস্থ জনৈক মোঃ খাজা মিয়ার বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা-বাংপুর মহাসড়কের উপর টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকা হইতে আসা গরু বোঝাই রংপুরগামী একটি পিক-আপ আটক করা হয়। এর পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী, এসআই শফিকুল ইসলাম, এসআই দেওয়ান মোঃ রেজাউল করিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ পলাশবাড়ী থানা পুলিশ আসামীদের ও গরুগুলোর বিষয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগন উক্ত গরু গুলি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর এলাকা হইতে অজ্ঞাতনামা চোরদের নিকট হইতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বহন করিয়া ছিলো। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা স্বীকার করে যে, তাহারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু চুরি করিয়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাট বাজারে বিক্রয় করিয়া থাকে এবং গ্রেফতারকৃতদের চুরি করাই তাদের পেশা ও নেশা। এ জিজ্ঞাসাবাদে গরু চুরির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন ও আরো কজন ব্যক্তির নাম পরিচয় জানান। এ সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক দ্রুত আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাশবাড়ী থানার মামলা নং- ৩৮, তারিখ- ১০/০২/২০২৩ ।
গ্রেফতারকৃত আসামী গাইবান্ধা জেলার পলশাবাড়ী উপজেলার উত্তর সাবদিন গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে ১। মোঃ আল আমিন (২৪), লালমনিরহাট সদর উপজেলার বাঁশদহ গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে ২। মোঃ সোহাগ মিয়া (২৭), পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর বাড়াইপাড়ার সাইদুল ইসলামের ছেলে ৩। মোঃ মোনারুল ইসলাম (২২), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার গোড়াইল ধনারচালা গ্রামের শামসুল দেওয়ানের ছেলে ৪। মোঃ রাসেল দেওয়ান (৩২), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশদহ গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে ৫। মোঃ ফিরোজ মিয়া (২৮)। তাদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত আলামত গুলো হলো- একটি সাদা রংয়ের পিক-আপ, যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-ন-১৯-৮৩৪৬, যাহার মূল্য অনুমান- ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা । একটি লাল রংয়ের আড়িয়া গরু,একটি কালো রংয়ের গাভী,একটি লাল রংয়ের ছোট বাছুর, একটি সাদা কালো রংয়ের গাভী, একটি মাটিয়া রংয়ের ছোট বাছুরসহ মোট গরু ও বাছুর ৫ টি, যার অনুমানিক মূল্য ৩,০০,০০০(তিন লক্ষ) টাকা। উদ্ধারকৃত আলামতের সর্বমোট মুল্য ১৮,০০,০০০/-(আঠারো লক্ষ) টাকা।