রাবি প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২৫ , ৪:৫৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘লং লিভ প্যালেস্টাইন, লং লিভ গাজা’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’, ‘ধ্বংস হোক ইসরায়েল’ লেখাসহ বিভিন্ন প্যাকার্ড প্রদর্শন করেন ও স্লোগান দেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন,এই সংহতি সমাবেশে ডান, বাম সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।আমরা যদি এই ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কাজে লাগাতে পারি,কিন্তু এই ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না বা সুযোগ পাচ্ছি না,প্রত্যেক টা ছাত্র সংগঠন নয় শুধু, প্রত্যেকটা মানুষ যারা মুসলিম উম্মাহ তারা জীবন দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। যারা জীবন বিলিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত,তাদের সম্পদটুকু এবং তাদের মানবসম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ শক্তি নাই।এই ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রত্যেক দেশের সরকার এর ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।এখানে যারাই আছে আমি মনে করি সবাই ফিলিস্তিনের জন্য জীবন দিতে রাজি আছে,পুরো মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান আমাদের এই মানবসম্পদ কে কাজে লাগান।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান (শিক্ষা) বলেন, এই মুহূর্তে যখন আমরা দাঁড়িয়েছি ফিলিস্তিনে আমার ভাই আমার সন্তানেরা ইসরাইলের বোমার আঘাতে হয়তো আকাশে উরছে। না খেয়ে তারা দিন পার করছে। কোনোরকম অবশ করা বাদেই তাদের হাত পা কেটে ফেলা হচ্ছে। তবুও আমরা দেখেছি তাদের মাথার উপরে কেও নেই। বিশ্ব মানবতা চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। সভ্যতার সূতিকাগার ইউরোপ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ‘ডেভিল ট্রাম্প’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, আমরা দেখছি যে এই ডেভিল ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই নিপীড়নের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি বলতে চাই ইজরায়েলের দোসর আমেরিকার বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়া উচিত। আমরা আজ থেকে কোনো আমেরিকান প্রডাক্ট ব্যবহার করবো না। এটা যদি আমরা না করতে পারি তারা এ গণহত্যা কোনোদিন থামাবে না। আমি মনে করি আমাদের নতুন করে সুযোগ এসেছে এসব ডেভিলদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। আমাদের আর পিছু হটবার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি এ ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। আমাদের এখন আর কথা বলার সময় নেই। আমাদেরকে ডাইরেক্ট একশনে যেতে হবে। সারা মুসলিম বিশ্বের কাজে আমার আহ্বান থাকবে আসুন আমরা এক হয়ে সারা বিশ্বে যে গণহত্যা চলছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আমরা আর পশ্চিমা বিশ্বের দিকে চেয়ে থাকবো না। আমরা এক হয়ে বিশ্বজুড়ে যে গণহত্যা চলছে তা রুখে দেবো।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্যে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি সেটা হলো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যখন কোনো নিপীড়ন-নির্যাতন চলে তখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দাড়ানো আমাদের দায়িত্ব। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়। কারণ এখানে যারা থাকে তারা বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলতে চাই যদি তোমরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে চাও তাহলে ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। জাতিসংঘে ওআইছি কাজে আসবে না। তোমরা নিজেদের যোগ্য করে তুলো যেন আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখে যেতে পারি।