বিবিধ

চিলমারীতে অকেজো হয়ে পড়ে আছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

  এস এম রাফি ২০ মে ২০২৩ , ৩:১৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অকেজো হয়ে পড়ে আছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর। আশ্রয়ন প্রকল্পটি হস্তাস্তরের আগেই ঘরে টিনের চাল বাতাসে উড়ে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এমন অবস্থা হওয়ায় বর্তমানে কোনো উপকার বা কাজে আসছে না আশ্রয়ন প্রকল্পটির ঘর গুলো। তবে প্রশাসন বলছে অতিদ্রুতই ঘর গুলো মেরামত করা হবে।
উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের আমতলা এলাকায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর সুবিধাভোগীদের নিকট হস্থান্তর করার আগেই বাতাসে চালের টিন উড়ে গিয়ে অকেজো হয়ে অদ্যাবধি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২এর তত্বাবধানে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই ঘরগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার গৃহহীনদের নামে বরাদ্দ দেয়ার আগেই এক রাতের ঘূর্ণিঝড়ে ঘরগুলির চাল উড়ে যায়। প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চিলমারী ইউনিয়নের আমতলা এলাকায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধিনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ করা হয়।ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ভরাট বাবদ ৫১১মে.টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল,যার আর্থিক মূল্য ছিল প্রতি মে.টন ১৫হাজার টাকা হারে প্রায় ৭৬লাখ ৬৫হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে নির্দিষ্ট কমিটির মাধ্যমে এই মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে টিন,কাঠ ও রড সিমেন্টের সিড়ি এবং মেঝে পাকা করে প্রতি ৫পরিবারের জন্য বারান্দাসহ ঘর মিলে একটি করে ব্যারাক তৈরী করা হয়। প্রতি ৫পরিবারের জন্য নির্মিত ব্যারাকের সাথে ৩টি টয়লেট ও ২টি নলকুপ স্থাপন করা হয়েছিল। আশ্রয়ণ কেন্দ্রটিতে ১১৫ পরিবারের জন্য এরুপ ২৩টি ব্যারাক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ঘরের চাল নেই,কিছু ঘরে বেড়ার টিন নেই,ব্যারাক সমুহের সাথে বসানো নলকুপের পাইপ পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রকল্পটি যেন গরু-ছাগলের চারন ভূমি। কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে কোন কাজে আসছে না।
এসময় স্থানীয় সাইফুল ইসলাম, জিয়াউল হক, সুজন মিয়া, তাজুল ইসলামসহ অনেকে জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পটির ঘর নির্মান শেষ হতে না হতেই কাউকে ঘর দেয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে ঘরের চাল ও বেড়া উড়ে গেছে। তখন থেকে ঘরগুলি মেরামত না করায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাকিউল ইসলাম বলেন, ঘর নির্মাণের পর ঘরের চালের টিন উড়ে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়াগায় জানানো হলেও দীর্ঘদিনে কোন মেরামত না করায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত প্রকল্পটি এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি অনেক আগে নির্মিত হয়েছিল। মেরামতের বিষয়ে উপরে বলা হয়েছে।