চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ , ৬:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সুধিজন এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
চিলমারী উপজেলার সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভায় উপজেলার ৬টি ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে ৫ জন ইউপি চেয়ারম্যানই আসেননি। একমাত্র রমনা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আঁকা এতে উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত চেয়ারম্যানরা হলেন, নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান ও থানাহাট ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মিলন, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, ও অষ্টমীর চর ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা সোহরাব হোসেন।
এ দিকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল বারী সরকার বলেন, আজকের সভাটি ছিল চিলমারী উপজেলার সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে। অথচ গুরুত্বপূণ এ সভায় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে দুইবার ডিসি স্যারের প্রোগ্রাম পেছানো হয়েছিল। আজকের প্রোগ্রামের বিষয়ে আজ সকালে আমাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে আমি এলাকার বাহিরে ছিলাম তাই আসতে পারিনি।
রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ডিসি স্যারের মতবিনিময় সভায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো না থাকায় যেতে সাহস পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দিন জানান, মতবিনিময় সভার বিষয়ে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের আমন্ত্রণ পত্র দেয়া হয়েছে। তারা কেন আসেননি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে চেয়ারম্যানদের বিষয়ে সব তথ্য দেয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় চরাঞ্চল, নদী, কর্মসংস্থান, বাল্যবিবাহ বন্ধসহ নানা সমস্যা, সম্ভাবনা ও উত্তরণ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধিজন ও সাংবাদিকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা চিলমারী’র উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।