ধর্ম ও নৈতিকতা

চিলমারীতে শেষ হলো অষ্টমীর স্নান

  এস এম রাফি ২৯ মার্চ ২০২৩ , ৪:০৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

এস এম রাফি চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পুন্যস্নান উৎসব সম্পুর্ণ হয়েছে । বুধবার ভোর থেকে এ স্নান উৎসব শুরু হয়। পিতা-মাতাসহ পুর্বপুরুষ ও নিজেদের পাপ মোচনের আশায় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রমনা ঘাট থেকে রাজারভিটা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ব্যাপী এলাকায় স্নানে অংশ নেয় লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ।
তবে এবারে পুণ্যস্নান বুধবার হওয়ায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে বলে জানায় আয়োজকরা। স্নান উৎসবে রংপুর বিভাগের সকল জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলার সনাতন ধর্মেও মানুষেরা অংশ নেয়।
পুণ্যার্থীরা জানান, পরশুরাম ব্রহ্মপুত্রের ত্রিধারায় গোসল করে মাকে হত্যার পাপ মোচন করেছিলেন। সেই থেকে তাকে অনুসরন করে পাপ মোচনের জন্য বছরের নিদিষ্ট দিনে এখানে স্নান করেন তারা।
স্নান উৎসব নির্বঘ্নে করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের পোষাক পরিবর্তনে বুথসহ অস্থায়ী লেট্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্ল তিথি অনুযায়ী বুধবার ভোর ৪টা থেকে ৫টা ৩০মিনিট পর্যন্ত দেড় ঘন্টা স্নানের উত্তম সময়। আর উত্তম লগ্ন সকাল ৯টা ৯মিনিট ২৩ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা ৯মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত। কিন্তু স্নানে অংশ নিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যান-বাহনে এসে অবস্থান নেন পুণ্যার্থীরা।
দিনাজপুর থেকে আশা নবদম্পতি সঞ্চিতা রানী ও ধবল চন্দ্র বলেন, তাদের বিয়ের পর এটাই প্রথম স্নান। আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছি আমি সহ আমাদের পরিবারের সবাই ভালো থাকে।
লালমনিরহাট থেকে শ্রী সুনিল চন্দ্র রায় বলেন, এবারে শান্তি পূর্ণ ভাবে স্নান করেছি। আর বিশেষ করে স্নাস উৎসবটি বুধবারে হওয়াতে অনেক লোক এসেছে। আর আমাদের ধর্ম অনুযায়ী এই দিনটি বিশেষ একটি দিন।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান বলেন, এবছর স্নান উৎসবে লক্ষাধিক মানুষ হয়েছে। সেই সাথে আইন শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি ভাল আছে। আশা করা যাচ্ছে কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটবে না। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মাঠে ২-৩ স্তরে প্রায় ৯০জন পুলিশ সদস্যে কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ ভাবে অষ্টমীর স্নাস সম্পুর্ন হয়েছে। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবক ভাল ভূমিকা রেখেছেন। তবে এই প্রথমবারের মতো স্নান এলাকায় ডুবুরি দল প্রস্তুত ছিলো।