চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২৪ , ১০:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শুরু হয়েছে শারদীয় দূর্গোৎসব। এবার পূজা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রশাসন। এদিকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
জানা গেছে, এবছর উপজেলার ২৩ টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সমাজসেবার দপ্তরের অধিনে দুর্গাপূজায় ১‘শ ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী, শুক্রবার মহাঅষ্টমী আর শনিবার হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবার মহানবমী পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা হবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি তপন কুমার রায় জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মণ্ডপে সংখ্যা কমেছে। এবার ২৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপনে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শাহেনাজ আক্তার বলেন, পিসি- ৫জন, এপিসি- ২৩ জন, পুরুষ আনসার -৭৪ জন, নারী আনসার- ৪৬ জন মিলে মোট ১‘শ ৪৮জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুস সাকিব সজিব জানান, দূর্গাপূজায় পুজারী ও পূজামন্ডপের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ৪টি মোবাইল টীম কাজ করছে। এছাড়াও সাদা পোষাকে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। রয়েছে সেনা বাহিনীর টহল।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু হয়।