চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ২০ অক্টোবর ২০২৪ , ৩:২২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের তিন গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রাহক। তবে স্থানীয়রা বিদ্যুতের সংযোগ খুঁটি ও তার নিরাপত্তা স্থানে সরিয়ে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য নিরাপদ দূরত্বে খুঁটি বসিয়েছেন। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সদিচ্ছার অভাবের কারণে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেন নি বলে দাবি করছেন গ্রাহকরা। এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছেন, তাদের না জানিয়ে খুঁটি সরানোয় লাইনের সংযোগ আটকে রাখা হয়েছে।
উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী, গয়নার পটল ও শহিদুল মিস্ত্রির গ্রামে ১৭ দিন হতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়ে আছে। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পুনঃ সংযোগ দেয়া হয় নি।
জানা গেছে, সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করে উপজেলার জোড়গাছ ঘাট হতে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ দিয়ে চরশাখাহাতীতে বিদ্যুৎ লাইন দেয়া হয়েছিল। এতে ব্যয় হয়েছিল কোটি টাকার উপরে। চার মাস ধরে অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছেন ওই এলাকা গুলোর প্রায় সাড়ে তিন শত গ্রাহক।
সরেজমিন দেখা গেছে, চরটি তীব্র ভাঙনের ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি বিলিন হয়েছে৷ এতে ভাঙনে বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটিও নদীর সন্নিকটে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ৫টি খুঁটি সরিয়ে নিরাপদ স্থানে বসিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সহযোগীতা না করায় ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ওই চরের প্রায় ৩৫০ গ্রাহক।
স্থানীয় জানান, নদীতে ভাঙনের মুখে পড়ায় এলাকার লোকজন একত্রে হয়ে বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত অফিসের কোনো অফিসার দেখতে আসে নাই এখানকার অবস্থা কি।
স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, নুর বক্ত, জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার পর থেকে সোলারের ব্যবহার কমে গেছে। হঠাৎ করে ভাঙনের কারণে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হওয়ার পর থেকে ১৭ দিনেও সংযোগ পাইনি। এতে অনেক সমস্যা হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিস একটু সহযোগিতা করলে আমরা সংযোগ পেতাম।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করতেছি। ডিজিএম, এজিএম সবাইকে বলছি, তারা খালি বলছে দেখি দেখি। ইঞ্জিয়ার ফোন ধরে না।
চিলমারী জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. আলামিন বলেন, তারা নিজে নিজে লাইন নতুন করে নির্মাণ করেছে। তাহলে নতুন পাওয়ার প্লান করে বিদ্যুৎ নিয়ে নেক! এটা তো আমাদের রুলসে ও রেজুলেশন পড়ে না। এখন কোনো ভাবে লাইন দেয়ার সুযোগ নাই। এখন যে নতুন লাইন হইছে সেটা সরকার পর্যন্ত থাকতে হবে। এখন এটা যদি ওরা আগে বলত আমাদেরকে তখন এখান থেকে স্টিমিং শিট ঢাকার মধ্যে আমাদের অফিসে পাঠালে ওখান থেকে পাশ হয়ে আসত। তারপর লাইনটা করত তাহলে সাথে সাথে লাইন দিয়ে দিত সমস্যা নাই। এখন এই জন্যে এটা আটকাই রাখছে।
চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোস্তফা কামালকে ফোনে পাওয়া যায় নি।