এস এম রাফি ১৯ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:২১ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি আর নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পের মেয়াদ ৯ মাসের হলেও দেড় বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের আওতায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবন সংস্কারের কাজের আদেশ দেওয়া হয় গত বছরের ১ আগস্ট। সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স চমক ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজের ব্যয় ধরা এক কোটি ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৫ টাকা।
হাসপাতালের পুরাতন ভবন সংস্কার এবং ফ্লোরসহ তিন ফুট ওয়াল টাইলস, বাথরুম ফিটিংস, ইলেকট্রিক ওয়ারিং, দরজা জানালা (গ্রিল ও থাই) লাগানো, একটি দ্বিতল গ্যারেজ নির্মাণ, চারটি কোয়াটার সংস্কার, হাসপাতালের ভেতরের রাস্তা ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ করার কথা। ৯ মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে ১৫ মাসেও শেষ হয়নি কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের সামনে খোলা ড্রেন। হাসপাতালটির বিভিন্ন কক্ষে রাখা হয়েছে ময়লার স্তুপ। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এছাড়াও জানালার থাই গ্লাস ও টাইলস নিন্মমানের বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। দ্বায়সাড়াভাবে রাস্তার সিসি ঢালাইয়ের কাজ করায় দুই মাস না যেতেই বেরিয়েছে রড।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চমক ট্রেডার্সের প্রতিনিধি এনামুল হক সোহেল বলেন, কাজে কোন অনিয়ম হয়নি, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ৯ মাসের হলেও পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কাজের মেয়াদ আরো এক মাস রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.আমিনুল ইসলাম জানান, কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কথাটি সত্য নয়। এছাড়া নিন্মমানের সামগ্রী ও কাজের ধীরগতির বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দিলেও কর্ণপাত করেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।##