বিবিধ

জমে উঠেছে পশুর হাট কাউনিয়ায় মাঝারী ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি

  এস এম রাফি ২৬ জুন ২০২৩ , ৭:৩৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

জহির কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ-আসন্ন ঈদুল আযহাকে ঘিরে কাউনিয়ায় জমে ওঠেছে কোরবানির পশুরহাট গুলো। কোরবানীকে সামনে রেখে উপজেলায় প্রস্তুত রয়েছে ১৯ হাজার ৮৮৩ গবাদি পশু। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় ততই বাড়ছে। পশুরহাটে নানা অব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত ঢোল আদায়ের অভিযোগ করেন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা। একটি সূত্রে জানাগেছে প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। তাই এ বছরও কোরবানিকে সামনে রেখে দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গো-খাদ্যর দাম ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। এ বছর মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদ বেশি। ভারতীয় গরু কম আসায় বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা। গত শুক্রবার ও সোমবার উপজেলার টেপামধুপুর ও খানসামা হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে এসছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারি প্রান্তিক কৃষকগণ। দেশি ও উন্নত জাতের গরুতে বাজার ভরেগেছে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৯০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ৮০ থেকে ৯০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোরবানির সাত অংশিদার ও একক ক্রেতাসহ উপজেলার বাইরে থেকে বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, ঢাকা, চট্রগ্রাম থেকে বেশ কিছু পাইকার এসেছেন পশু কিনতে। প্রখর রোদ ও বৃষ্টিতে হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কোরবানির হাট। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, এবার উপজেলায় ছোট বড় ৩১৫২ খামারীর কোরবানির প্রায় ৬হাজার ৪৩৭টি গরু ৮৩২৬টি ছাগল ও ৮৩৮টি ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অনেক পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিঞ্চিতা রহমান বলেন, কাউনিয়া উপজেলায় ১৯হাজার ৮৮৬টি পশু মজুত রয়েছে। কুরবানীর পশুর হাটে আমাদের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা অসুস্থ পশু চিহ্নিত করা, বাজারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া পশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা, গর্ভ পরীক্ষা, লিফলেট বিতরণসহ সহ গবাদি পশু ক্রেতা- বিক্রেতাদের নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছেন। আশা করছি খামারীরা তাদের পশুর ভাল দাম পাবে।