এস এম রাফি ২৫ অক্টোবর ২০২৩ , ১:৫৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
জামায়াতে ইসলামীকে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত নয় বলে অনুমতি পাচ্ছে না।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা দলটি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই মহাসমাবেশ করতে চায়। সেখান থেকে দলটি হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই দিনই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান দুই দলের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই জামায়াতে ইসলামী একই দিন মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। ২০০৬ সালের এই দিনে (২৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা (জামায়াত নেতারা) যদি সমাবেশের নিয়মকানুন মেনে চলে তাহলে তারা সমাবেশ করতে পারে। এখন তারা যদি জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি নেয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না।’
তবে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি সিদ্ধান্ত নেবে। তারা সুবিধাজনক জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দেবে।
বিএনপির সরকার পতনের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, সরকার তো এমন কোনোকিছু না যে, ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে। এদেশে গণতান্ত্রিক সরকার আছে। ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’
এ সময় আসাদুজ্জামান খান কামাল আনসার বাহিনীকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়ে আইন হচ্ছে না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে। আনসার ব্যাটালিয়নকে গ্রেফতার বা আটকের ক্ষমতা দিয়ে আইন করার বিষয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি একটি প্রোপাগান্ডা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে। সেখানে আলোচনা পর্যালোচনা চলছে।