মো.শাহাদাত হোসেন মনু,ঝালকাঠি ১৪ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:০১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৮তম বার্ষিকী আজ। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্ববর ঝালকাঠির দুই বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে নিহত হন।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে নানা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। সকাল ৮টায় আদালত চত্বর থেকে একটি শোক র্যালী বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। আদালত ভবনের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
ঝালকাঠির সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামে সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন জেলা পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল , চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ শাহরিয়ার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ হামিদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পিপি এডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বনি আমীন বাকলাই প্রমুখ।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে দুই বিচারকের বহনকারী মাইক্রোবাসে এই নৃশংস হামলা চালায় জেএমবি। ঘটনাস্থলেই মারা যান সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের।
এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি বিধ্বস্ত হয়। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদÐ কার্যকর করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখা প্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুলাহ ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয় খুলনা কারাগারে।