সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি ১ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:০০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও কুপিয়ে ৫ জনকে আহতের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত মূল আসামী ইয়ারপুর ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজন ভূঁইয়া এখনও পলাতক রয়েছেন। জানা গেছে অভিযুক্তরা সকলেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামের সমর্থক।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আশুলিয়া থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, রবিবার রাত ১০ টার দিকে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাতেই মনির হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার জাহিদ ভূইয়া (২৫), রাসেল কমান্ডার (৩২) ও জনি দেওয়ান (৩০)। এ ঘটনায় পলাতক বাকি আসামীরা হলেন, ইউপি সদস্য জলিল উদ্দিন ওরফে রাজন ভূইয়া (৩৩) ও তাঁর ছোট ভাই রাকিব ভূইয়া (২৮), মো.সাইফুল ইসলাম (৩৫), পালছার মাসুদ (৩৪), রনি দেওয়ান (২৫), ইমন (৩৫), নিজাম (৩২), আমানসহ (৪০) আরও অজ্ঞাত ২৫-৩০ জন। তারা আশুলিয়া থানার পূর্ব নরসিংপুরের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নরসিংহপুর এলাকায় আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ট্রাক প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করে। এতে বাঁধা দেয় রাজন ভুইয়া ও তাঁর সহযোগীরা। ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হকিস্টিক, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্রসহ রাজন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ওই কার্যালয়ে এসে ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা সানাউল্লাহ ভূইয়া সানি আরও কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে ইউপি সদস্য রাজন ও তার সহযোগীরা তাদের মারধর করেন। এই ঘটনার পরে আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত ট্রাকের সমর্থনকারীদের আরও একটি অফিস ভাংচুর করেন ও সেখানেও ৩ জনকে আহত করেন।
ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা আমার ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্প রাজন মেম্বার ও তার ছোট ভাইসহ ৩০-৪০ জন মিলে তাদের নেতৃত্বে ভাংচুর করা হয়েছে। আমাদের কর্মীরা সেখানে গেলে তাদের চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় ক্ষমতা ব্যবহার করে তার কর্মীদের দিয়ে এই হামলা করিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবুল হাসান বলেন, অভিযান চালিয়ে রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জড়িত অনান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে হামলার পর রাতেই আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের জামগড়া ছয়তলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত ১২ টার দিকে প্রায় ২০ মিনিট সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আসামী গ্রেপ্তারের আশ্বাসে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সড়িয়ে দেয়।