সদরুল আইন, স্টাফ রিপোর্টার ১৮ মার্চ ২০২৪ , ৭:২৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের সাজা চলবে। একই সঙ্গে তারা বিদেশ যেতে চাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে।
সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
খুরশীদ আলম খান জানান, এ চারজন বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করে যেতে হবে। এ ছাড়া রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
শুনানি চলাকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, কোনো বিদেশি কূটনীতিক যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার নিয়ে মন্তব্য করেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় আছে কি না। জবাবে কলকারখানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা তাদের বিরুদ্ধে সাজার রায় দেন। তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন। সেই সময়সীমার মধ্যেই আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা।
ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেন।
এ ছাড়া ৩ মার্চ পর্যন্ত ১ জানুয়ারি দেওয়া দণ্ডের রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করেন। এ স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।