- আরও
ডেস্ক নিউজ ২৯ জুন ২০২৫ , ১০:২৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আগামীর বাংলাদেশে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন। এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ১০০ আসনেরও প্রস্তাব এসেছে। প্রশ্ন হলো, উচ্চকক্ষের এই ১০০ আসনে নির্বাচন হবে কোন পদ্ধতিতে? সম্প্রতি পি.আর সিস্টেম বা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের যে দাবীটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে উঠেছে সেটি এই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়। অর্থাৎ আগামীর দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষের ১০০ আসনে নির্বাচন হবে সংখ্যানুপাতিক। উচ্চকক্ষ নির্বাচনে ভোটাররা দলকে ভোট দিবে; কোন প্রার্থীকে নয়। কোন দল যদি ১% ভোট পায় তাহলে উচ্চকক্ষে সেই দলের এমপি থাকবে ১ জন এবং কোন দল যদি ৫০% ভোট পায় তাহলে সেই দলের এমপি থাকবে ৫০ জন। উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য অর্থাৎ ৫১ জনের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পাশ হবে। ফলে সংসদে কোন বিল পাশে বেশীরভাগ দলের রিপ্রেজেন্টেশন থাকবে এবং সারাদেশের ভোটারদের পারসেন্টেজ সংসদে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৩০০ আসনে নির্বাচন হতে পারে প্রচলিত পদ্ধতিতে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের যে দাবীটি উঠেছে সেটা একেবারেই যৌক্তিক। সুতরাং চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে ভোটাররা ৩ টি ব্যালটে ভোট দিয়ে উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষ ও সংরক্ষিত নারী এমপি নির্বাচিত করবে। ফলশ্রুতিতে, একটি কর্তৃত্ববাদী পার্লামেন্টারিয়ান রেজিমের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃতপক্ষে একটি গণতান্ত্রিক পার্লামেন্টের দিকে এগিয়ে যাবে নতুন বাংলাদেশ!
এড. এস.এম.নুরে এরশাদ সিদ্দিকী
উচ্চতর পরিষদ সদস্য, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)
