শিক্ষা

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মাঝেও ক্যাম্পাসে খাবারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত রাবি প্রশাসনের

  রাবি প্রতিনিধি ২২ জানুয়ারি ২০২৪ , ৭:৩৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অবস্থিত খাবার দোকান গুলোতে খাবারের দাম এবং মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মাছ-মাংসসহ প্রায় ৩০ পদের খাবারের নতুন মূল্য তালিকা নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই কার্যকরের নির্দেশনা প্রদান করেছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে প্রক্টর দপ্তরে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি ও খাবার দোকানিদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাংশের উন্মুক্ত আলোচনা হয়। সেসময় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত খাবার দোকানে মূল্য কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারন এবং খাবারের মান বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়।

নতুন মূল্য তালিকায় প্রায় ৩০ পদের খাবারের মূল্য কমিয়ে নতুন করে মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খাবারের মান বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দোকানগুলোতে খাবারের মান তদারকির জন্যে ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

মূল্য তালিকায় দেখা যায়, প্রতি প্লেট ভাত ১২ টাকা এবং হাফ প্লেট ৬ টাকা, প্লেট প্রতি খিচুড়ী ২০ টাকা এবং হাফ প্লেট ১০ টাকা, গরুর মাংস এক বাটি ১০০ টাকা এবং হাফ বাটি ৬০ টাকা, সোনালী মুরগী ৭০ টাকা, বয়লার মুরগী দুই টুকরো ৩০ টাকা এবং এক টুকরো ১৫ টাকা, কাতল মাছ এক পিচ ৩০ টাকা, রুই মাছ ১পিচ ৩০ টাকা, রান্না এবং ভাজা ডিম প্রতি পিচ ১৫ টাকা, এক প্লেট ঘন ডাল ১০ টাকা, যেকোন ভর্তা ৫ টাকা, যেকোনো সবজি ১০ টাকা।

মগলাই ফুল ৪০ এবং হাফ ২০ টাকা, আলুর সিঙ্গাড়া প্রতি পিচ ৬ টাকা, পুড়ি প্রতি পিচ ৬ টাকা, পরোটা পিচ প্রতি ৬ টাকা, চপ পিচ প্রতি ৬ টাকা, সবজি রোল পিচ প্রতি ২০ টাকা, বড় বার্গার প্রতি পিচ ৩০ টাকা, চিকেন ফ্রাই পিচ প্রতি ৩০ টাকা, লাল চা অথবা লেবু চা এক কাপ ৫ টাকা, দুধ চা এক কাপ ১০ টাকা, দুধ কফি কাপ প্রতি ১৫ টাকা, ব্লাক কফি কাপ প্রতি ১০ টাকা, স্যান্ডুস পিচ প্রতি ৩০ টাকা, লেমন জুস এক গ্লাস ১০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

এবিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ক্যাম্পাসের দোকানীদের যেন ঘাটতি না হয় এবং শিক্ষার্থীরাও যেন সন্তুষ্ট থাকে উভয় দিক বিবেচনা করেই খাবারের নতুন মূল্য তালিকা নির্ধারন করা হয়েছে। এতে উভয়পক্ষই উপকৃত হবে বলে আশাবাদী। কিছুদিন পর খাবারের মান কমে যাওয়ার অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ঠ দোকানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।