বিবিধ

ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর, তলিয়ে গেছে গ্রামীণ জনপদ

  uadmin ২১ জুন ২০২৪ , ৬:৫০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

oplus_0

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র,দুধকুমার,ধরলা,তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চর, দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার পরিবার।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিমজ্জিত হয়েছে গ্রামীন কাঁচা-পাকা সড়ক। নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন।

এছাড়াও তলিয়ে গেছে মৌসুমী ফসলের ক্ষেত।

ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা এখনো বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের ভেলুর বাজার এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ধরলা নদীর পানি বাড়ার কারণে আমার এলাকার সব শাক সবজির খেত তলিয়ে গেছে। আমার ২ বিঘা জমির পটল তলিয়ে গেছে। পানিটা আর কয়েকদিন পরে আসলে আরও অনেক টাকার পটল বিক্রি করতে পারতাম। এখন গাছগুলোর সব মরে যাবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্র জানায়, নদ নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় ৪৫৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, বন্যা মোকাবেলায় ১৩ লাখ টাকা, চাল ২৫১ মেট্রিকটন, ঢেউটিন ২৫০ বান্ডিল, নৌকা ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও যদি কোন প্রয়োজন হয় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্তা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী আরও ৪৮ ঘন্টা কুড়িগ্রামের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।