এস এম রাফি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৩৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক তরুণী (২৩) সাথে প্রেম…! অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
নওগাঁর পত্নীতলায় উক্ত ঘটনায় নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ পারভেজ ওরফে আরাফাত হোসেন পারভেজ এর নেতৃত্বে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রথমে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখিত ঘটনার অন্তরালে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তাকারী এবং প্রতারণার মাধ্যামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে নামীয় পত্নীতলা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। মামলার পর হতেই আলোচিত সেই ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানা ওসি পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, ‘আট আসামীর মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
পত্নীতলা থানায় ওই ভুক্তভোগী তরুণীর করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১ নং বিবাদী মাহবুব আলম গত বুধবার ৯ আগষ্ট সকাল ১০ টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতরা বাজারে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে মাহবুব ও জিসান অপেক্ষা করে।
এরপর ঘুরে বেড়ানোর আবারো আশ্বাস দিয়ে জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড নিয়ে আসেন। নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে এক হোটেলে নাস্তা খাওয়ার পর বিবাদী তৈয়ব এর বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিবাদী মাহবুর ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই তরুণীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক বিবাদী ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ও ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বিকাশে (০১৭২৮-৬৬৮৪৫৯) নম্বরে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও ১ নম্বর আসামীর নিকট হতে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে সেখান থেকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে অন্য বিবাগীগণ আবারো পত্নীতলা বাজার এলাকায় গভীর রাতে ভুক্তভোগীকে আটক রেখে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন।
আসামীরা হলেন- জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার কান্দইল গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহবুব আলম (২৫) ও বাবুল রানা হামিদের ছেলে জিহাদ হাসান জিসান (১৬), পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আরাফাত হোসেন পারভেজ (২১), পত্নীতলা বাজারের বাসিন্দা তৈমুর আলীর ছেলে তৈয়ব আলী (২২), মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে মেজবাউল হক (ইমন), উপজেলার গোপীনগর গ্রামের বিদ্যুৎ মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডল (২০), উপজেলার ব্যাংডোম গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রিপন (২৫), উপজেলার ব্যাংডোম গ্রামের হাবিবুরর রহমানের ছেলে রিপন (২৫), নজিপুর পৌর এলাকার হরিরামপুরের লকবির রহমানের ছেলে মাহবুব আলম (২৮)।