এস এম রাফি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:৫২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারীর চতুর্থ দফায় বন্যার পানিতে প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সমতল ও নিম্ন অঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত থাকায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান ও বীজ তলাসহ সবজি খেত নষ্ট হয়েছে।
দেরিতে হলেও বন্যার পানি নেমে যাবার পর ধারদেনা করে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে রোপা আমন ধানের চারা লাগিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন এ অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকরা।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় নেয়া হবে।
জানা গেছে, বন্যার কারণে এ উপজেলায় ২০ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকদেরকে চড়া দামে রোপা আমনের চারা কিনতে হচ্ছে। সেই সাথে ৭২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান খেত নষ্ট হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কেউ ঘরে বসে নেই। কেউ জমি তৈরি করছেন। কেউ বা চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর জমি নরম থাকায় তাদের বাড়তি সেচ প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে চারা রোপণে দেরি হওয়ায় ফলন কম এবং রবি শস্য চাষে ব্যাঘাত হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
থানাহাট ইউনিয়নের নয়াবাড়ী গ্রামের সাদেকুর রহমান জানান, তার পনেরো শতাংশ জমিতে লাগানো রোপা ধানের চারা বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পানি নেমে যাওয়ার পর সেই জমিতে আবারো চারা রোপণ করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
একই ইউনিয়নের পেদিখাওয়া এলাকার আফজাল হোসেন জানান, ধারদেনা করে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিলাম। সেই ধানের আবাদ বন্যার পানিতে পচে গেছে। আবারো লাগাতে গেলে অনেক টাকা প্রয়োজন। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি এলাকার ফাইদুল ইসলাম জানান, বন্যায় তার ১২০ শতাংশ জমির ধানগাছ নষ্ট হয়ে গেছে। চারা সংগ্রহ করে আবারো লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
চিলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, চতুর্থ দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।