অপরাধ

নওগাঁয় দুইটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন, জরিমানা আদায়

  ইখতিয়ার উদ্দিন আজাদ,নওগাঁ প্রতিনিধি: ১৩ মার্চ ২০২৫ , ৯:২৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় অনুমোদনহীন অবৈধ দুইটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও দুই ইটভাটার মালিকদের ২৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অদিপ্তরের যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার ও সাকিব বিন জামান প্রত্যয় নেতৃত্বে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় পত্নীতলা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে অবস্থিত মেসার্স এম ই এস কোং ও মেসার্স এস কে ব্রিকস নামক ভাটার কিলন এক্সকেভেটর দিয়ে আংশিক ভেঙ্গে দেয়া হয়। এরপর আরও এই দুটি ইটভাটায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নওগাঁ জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হোসাইন প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন জানিয়েছেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইট পোড়ানো লাইসেন্স ব্যতীত পরিচালিত মেসার্স এমইএস কোং ও মেসার্স এসকে ব্রিকস নামক দুইটি ইটভাটার কিলন এক্সকেভেটর দিয়ে আংশিক ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি দিয়ে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া মেসার্স এমইএস কোং এর নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং মেসার্স এসকে ব্রিকস এর নিকট হতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলন বলেন, আইন ভঙ্গ করে লাইসেন্সবিহীন ইট প্রস্তুত করার কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১) ধারা মোতাবেক ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ভবিষ্যতে যাতে কার্যক্রম পরিচালনা না করতে পারে। তার জন্য উক্ত ইটভাটায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।