বিবিধ

নাগেশ্বরীতে দুধকুমারের পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে পানি

  এস এম রাফি ২১ জুন ২০২৩ , ১০:৩২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানির কুটি বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে দুধকুমারের পানি। এর ফলে পানি প্রবেশ করছে নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এদিকে বাঁধের ভাঙ্গা স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয়রা জানায়, দ্রুত বাঁধটি মেরামত করা না হলে নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাড়ের যে সড়ক ভেঙে পানি প্রবেশ করছে তা মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পনি ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর ও সদর উপজেলার মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরের ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব চরে বসবাসকারী পরিবারগুলো পড়েছে চরম দুর্ভোগে। অনেকেই দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করলেও কোন কোন পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। তবে এ পরিবারগুলো রাতের বেলা নিজ ঘরের উঁচু মাচানে অবস্থান করছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার নলকুপ তলিয়ে থাকায় ও অনেক পরিবার রান্না করতে না পারায় বিশদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের প্রয়্জোনীয়তা দেখা দিয়েছে।
বন্যার পানি প্রবেশ করা চরাঞ্চলগুলোর মানুষেরা তাদের পালিত গরুসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। কেউ কেউ তাদের এসব পালিত গরু উঁচু জায়গায় স্থানান্তর করলেও কেউ রেখেছেন নৌকায়।
বেগমগন্জ ইউনিয়নের পুর্ব বালাডোবার চরের আম্বিয়া বেগম জানান, গত ৩ দিন ধরে ঘরে পানি উঠেছে। খুবই কষ্ট করে রান্না বারা করছি। ছেলে মেয়ে নিয়ে দিনের বেলা নৌকায় আর রাতের বেলা ঘরের ভিতর উঁচু করা মাচানে বসবাস করছি। পানি আরো বেড়ে গেলে ঘরে থাকার উপায় থাকবে না।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো নতুন নতুন চর প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়ে পানিবন্দি পরিবারগুলোর শুকনো খাবারের প্রয়োজনের কথা জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বেগমগন্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ যাতায়াতের জন্য নৌকা জরুরী হয়ে পড়েছে। তারা দুর্ভোগে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানায়, আগামী ২২ ও ২৩ জুন প্রধান নদ-নদীগুলোর পনি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হওয়ার আশংকা নেই বলে জানান তিনি।