এস এম রাফি ২১ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:৩৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সদরুল আইনঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য এবং আস্থাভজন করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা ভাবছে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা কেমন হবে সেটি নিয়ে যেমন আলোচনা হচ্ছে তেমনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলাপ আলোচনা করছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সেরা নির্বাচন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে অঙ্গীকার করেছেন যে, এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে এবং এই নির্বাচনে কোনরকম কারচুপি তিনি বরদাস্ত করবেন না, ফলাফল যাই হোক না কেন।
আর এ কারণেই এই নির্বাচন অন্য নির্বাচনগুলোর মতো হবে না বলেই আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা মনে করছেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন নিয়ে বিদেশি যে সমস্ত রাষ্ট্রগুলো নানা রকম সন্দেহ, অবিশ্বাস করছে তাদেরকে একটা বার্তা দিতে চায় সরকার।
আর এই কারণেই এই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ স্বপ্রণোদিত হয়ে অনেক কিছুই করতে পারে।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন শেখ হাসিনা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে অনেক কিছুই হতে পারে এবং সেই বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারের ভাবনার মধ্যে রয়েছে সরকারের আকার ছোট করা, কিছু নিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরকে উপদেষ্টা রাখা। ইতোমধ্যে কিছু কিছু নিরপেক্ষ ব্যক্তির নাম নিয়েও আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।
কারোর চাপে নয় বরং স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগ এটি করতে চায়। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিরোধী দল, বিদেশিদেরকে একটি বার্তা দিতে চায় যে তারা সংবিধানের আওতায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সবকিছু করতেই প্রস্তুত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল যেমনটি সংলাপের কথা বলেছে ঠিক সেরকম ভাবে একটি সংলাপের জন্য আহ্বান জানাতে চান প্রধানমন্ত্রী।
এই সংলাপের জন্য তিনি কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিতে চান। আর এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টামন্ডলীর কথাও তিনি বলতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে। নিরপেক্ষ উপদেষ্টামন্ডলীর মধ্যে বেশ কিছু নাম নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন সহ বেশ কিছু প্রথিতযষা ব্যক্তির নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে উপদেষ্টা হিসেবে রাখতে চান।
যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিবেন এবং সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য কাজ করবেন।
এ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় এমন সদস্যদেরকে রাখা হতে পারে যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। সবকিছু মিলিয়ে সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে চান। যার মাধ্যমে সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে তার আন্তরিকতা এবং অবস্থান পরিষ্কার করতে চান।
তবে বিভিন্ন মহল বলছে, এখনো সব কিছু চূড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৪ অক্টোবর ব্রাসেলসে যাচ্ছেন এবং সেখান থেকে ফিরে আসার পরেই তিনি নির্বাচন, সংলাপ এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সুস্পষ্ট বার্তা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।