ফিচার

পানিতে নিমজ্জিত জমিতে পানিফল চাষ করে লাভবান কৃষক

  এমদাদুল হক, বগুড়া ২৪ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:৫০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মাত্র এক বিঘা জমি থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকার পানিফল (সিঙ্গারা) বিক্রি করছেন কৃষক রেজাউল করিম। একটি মাত্র গাছ থেকে ছেয়ে গেছে তার পুরো জমি। পতিত জমিতে পানি ফল চাষ করে বাড়তি আয় হওয়ায় খুশি চাষী রেজাউল করিম।

উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের নিজবলাইল গ্রামের মৃত সোলেমান আলী আকন্দের ছেলে রেজাউল করিম। গ্রামের বালেভিটে এলাকায় বিলে তার ১ বিঘা জমি রয়েছে। ওই জমিতে শুধুমাত্র বোরো মৌসুমে ধানের ফসল হয়। বছরের বাকী সময় তার জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। জমিতে অন্য কোনও ফসল না হওয়ায় সেখানে বিকল্প কিছু করা যায় কিনা, এ চিন্তা থেকেই তিনি পানিফল(সিঙ্গারা) চাষের পরিকল্পনা করেন। তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে ৫০০(পাঁচ শত) টাকা দিয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশে থেকে একটি চারাগাছ সংগ্রহ করে তার জমিতে রোপণ করেন। গত ফাল্গুন মাসে চারাগাছ রোপণ করলেও একটি চারাগাছ থেকেই তার পুরো ১ বিঘা জমি সিঙ্গারা গাছে ছেয়ে গেছে।

ভাদ্র মাসের প্রথম থেকেই তার জমি থেকে সিঙ্গারা তুলতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন তার ৩ মণের বেশি সিঙ্গারা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিমণ ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। রেজাউল করিম নিজ হাতে হাট বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুচরা বিক্রি করেন। বিক্রি কাজে তাকে সহযোগিতা করনে তার জমজ দুই ছেলে রাকিব ও সজিব। দুজনেই এস এস সি পরিক্ষার্থী। পানি ফল বিক্রি করে ভালো টাকা পয়সা আয় করে ছেলেদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার বেশ ভালোভাবেই চালাচ্ছেন।

রেজাউল করিম বলেন, যতদিন জমিতে পানি আছে ততদিনই জমি থেকে সিঙ্গারা উত্তোলন করা সম্ভব। আমার পতিত জমিতে এ ফল চাষে আমি এতোটা লাভবান হবো তা কখনোই ভাবিনি। আমি খুবই খুশি।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল হালিম বলেন, এ উপজেলায় প্রতিবছর বর্ষাকালে বিশাল আয়তনের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পতিত পড়ে থাকে। এসব জমিগুলোকে পতিত না রেখে কৃষকরা যদি পানিফল ফসল চাষ করে, তাহলে অল্প খরচেই তারা অধিক লাভবান হতে পারবেন। সিঙ্গারা আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেল জোগান দেয় এবং শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করে।