সারাদেশ

প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত নির্মাণ শিল্পীরা; ৬৭ মন্দিরে বসবে পূজামন্ডপ, ১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ

  এস এম রাফি ২ অক্টোবর ২০২৩ , ৭:২১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কাঁশফুল ফোটা শরতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় শারদীয় দূর্গোৎসব কে সামনে রেখে মন্দির গুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। রংপুরের কাউনিয়ায় দুর্গা পূঁজোকে সামনে রেখে নিপূণ হাতে কাঁদামাটি, খড়, বাঁশ, সুতলি ও রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। প্রতিমা তৈরির কাজে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখাগেছে, মন্দিরে কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গা, লক্ষী, স্বরসতী, গণেশ ও কার্তিক ও অসুরের প্রতিমা। বেশির ভাগ মন্দিরের জন্য দূর্গার অর্ডার করে রেখেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্ডপে মন্ডপে চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ, আবার কোথাও শুরু হয়েছে রংয়ের কাজ। আগামী ১৩ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়বে। ১৯ অক্টোবর মহা পঞ্চমী, ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী, ২১ অক্টোরর সপ্তমী, ২২ অক্টোবর অষ্টমী, ২৩ অক্টোবর নবমী ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে ৫ দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূঁজার পরিসমাপ্তি ঘটবে। ইতোমধ্যে উপজেলায় পূঁজা মন্ডপ গুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেবী তৈরীর কারিগররা এসেছেন মূর্তি তৈরীর কাজে। দুর্গাপূঁজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব হিসেবে পালিত হয়। ঢাকের তালে আর শিউলীর মিষ্টি গন্ধে পুরো দেশে দুর্গা পূজার হাওয়া বইতে থাকে। প্রতিমা শিল্পীর কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে সকাল থেকে শুরু করে রাতভর চলছে কাজ। কাউনিয়ার মা মৃৎ শিল্পালয় এর পরিচালক প্রতিমা শিল্পী তাপস রায় বলেন, কাউনিয়ায় এখানে রেডিমেড দুর্গা প্রতিমা পাওয়া যায়, অর্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিমা তৈরী করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি। আমি এবার ২৭টি মন্দিরের প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি। কাউনিয়া কেন্দ্রীয় গোপালগঞ্জ সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব গোস্বামী বলেন, উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্রে করে মহা-মিলন হয় বলে এ পূঁজাকে বলা হয় সার্বজনীন পূঁজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব। আর দুর্গাপূঁজাকে সামনে রেখে পূঁজা উদযাপন কমিটি ব্যস্ত সময় পার করছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কাউনিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমল কুমার সরকার বলেন, এ উপজেলায় এবারে ৬৭ মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সারাই ইউনিয়নে ৪ হারাগাছ ইউনিয়নে ৪ শহীদবাগ ইউনিয়নে ৬ কুর্শা ইউনিয়নে ১৪ বালাপাড়া ইউনিয়নে ২৫ টেপামধুপুর ইউনিয়নে ১৪ টি মন্দিরে পূজামণ্ডপ বসবে। তার ১৩ পূজামণ্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তিনি জানান হিন্দু সম্প্রদায়ের শিশু, নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ শারদীয় উৎসবকে সার্থক করতে প্রহর গুনছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে পূঁজামন্ডপ গুলোতে। থানা অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, ইতোমধ্যেই পুলিশি তদারকি শুরু হয়েছে । প্রতিটি পূঁজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, দূর্গাপুঁজা উৎসব মুখোর ও শান্তিপুর্নভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।