uadmin ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১১:২৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন থেকে ফিরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অধিবেশন কক্ষে প্রবেশকালে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
সোমবার মাগরিবের বিরতির পরে বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ বিমান বিল-২০২৩’ এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। বিলের ওপর জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের আলোচনা চলাকালে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
অন্যরা নিজ নিজ চেয়ারে বসে টেবিল চাপড়ালেও রাঙাকে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে টেবিল চাপড়াতে দেখা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গত শুক্রবার জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের দিল্লিতে যান। সফর শেষে রবিবার দেশে ফিরলেও অধিবেশনে যোগ দেননি তিনি।
এ সময় ফখরুল ইমাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সংসদ সদস্যরা হাত তালিটা দিলো, এটাতে মনে হয় অভিনন্দন দিলো নাকি! আমরা জানতে চাই, আসলে ঘটনাটা কী হলো? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জি-২০ সম্মেলনের প্রত্যেকটা জায়গায় ফায়দা তুলেছেন। এটা ওনার বুদ্ধিমত্তার জন্য পেরেছেন।’
এ সময় রাঙার দিকে হাত দেখিয়ে ফখরুল ইমাম বলেন, ‘জি-২০ সম্মেলনের সফলতার জন্য সংসদ সদস্য হাত তালি দিয়েছেন?’ তখন মসিউর রহমান রাঙাকে মাইক ছাড়া বলতে শোনা যায়, ‘চিফ হুইপ বলতে’।
তখন ফখরুল ইমাম বলেন, ‘চিফ হুইপ (বিরোধী দলের) আমরা শুনতে চাই, সাফল্যগুলো কোন সময় তিনি যদি বলেন। তাতে আমরা আশ্বস্ত হই।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাতে দেখা যায়। দলটির আরেক সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জি-২০ সম্মেলন থেকে ফিরে এসেছেন, এতে বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী, আমরাও তাকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। তার সুযোগ্য কন্যাকে (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে বড় অর্জন, এ সামিটের সদস্য না হয়েও সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন, বাংলাদেশের সম্মানের পক্ষে কথা বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার পক্ষে।’