এস এম রাফি ১৪ আগস্ট ২০২৩ , ১:২৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারী সরকারী কলেজে আসন্ন এইচএসসি পরিক্ষার প্রবেশ পত্র ও সব শেষ এইচএসসি পরিক্ষার মুল সনদ পত্র নিতে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, নিয়নবর্হিঃভূত ভাবে নেয়া হচ্ছে এসব টাকা। টাকা না দিলে মিলছেনা কাগজপত্র।
অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ গুলোয় সরেজমিন গিয়ে টাকা নেয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।
স্থানীয় নওয়াব আলী নামে এক অভিভাবক জানান, এইচএসসি পরিক্ষার প্রবেশ পত্র নিতে কলেজে গিয়েছিলাম ৫০০ টাকার কম মানছেন না। টাকা দিতে না পারায় ফেরত এসেছি। দেখি কি করা যায়।
নাইম নামে এইচএসসি পরিক্ষার্থী বলেন, ফরম ফিলাপের সময়ও বেশি টাকা নিছে । এখন প্রবেশ পত্র নিতে এসেছিলাম কিন্তু ৫০০ টাকা চাচ্ছে। তারা কি এই টাকা নিতে পারেন?
জাকির নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এবার ওই কলেজেই ডিগ্রিতে ভর্তি হতে ওই কলেজ থেকেই এইচএসসি পরিক্ষার মুল সনদ (সার্টিফিকেট) নিতে বিএম শাখার আসাদ স্যারকে ফোন করেছিলাম তিনি ৭০০ টাকা চাচ্ছে, এখন এত টাকা কিভাবে দেবো সেইটাই ভাবতেছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সাবেক আহবায়ক বদিউজ্জামান বদরুল বলেন, এই ঘটনা শুধু আজ থেকে নয়। এটা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। আসলে এভাবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চাপ প্রয়োগ করে টাকা নেয়া টা ঠিক নয় । এমন অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে বেশ কয়েকজন সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা এসেছিল। তারা অভিযোগ করছিল যে প্রবেশ পত্র ও সার্টিফিকেট নিতে গেলেই ৫০০টাকা নেয়া হচ্ছে। চিলমারীতে অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা খুবই দরিদ্র ঘরের । তাদের পক্ষে এই টাকা দেয়া কষ্ঠসাধ্য। নিয়মবহিঃভূত ভাবে এই টাকা নেয়া হচ্ছে। কেনো নেয়া হচ্ছে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে দেখবেন।
এদিকে চিলমারী গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজে ৩শ থেকে ৪শ টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আইরিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ৪০০ টাকা দিয়ে প্রবেশ পত্র নিয়েছি।
চিলমারী সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কবিরুল ইসলাম কে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
পরে ওই কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাফিউল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
চিলমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিতেন্দ্রনাথ বর্মন জানান, প্রবেশ পত্র বাবদ টাকা নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। আমার কলেজে ফ্রিতেই দেয়া হচ্ছে প্রবেশ পত্র।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. তাহের আলী বলেন, অধ্যক্ষের সাথে কথা বলব, বিষয়টি আমার জানা নেই।