হারুন-উর-রশীদ ফুলবাড়ী,দিনাজপুর প্রতিনিধি: ১১ জুন ২০২৪ , ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমি জমাকে কেন্দ্র করে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে নিজেরসহ দুই কন্যার প্রাণ বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিধবা মালতি চক্রবর্তী।
গত (১০ মে) সোমবার সকাল ১১টায় ফুলবাড়ী চৌধুরী মোড়ে অবস্থিত কম্পিউটার টেনিং অফিসে উপজেলার খয়েরবাড়ী গ্রামের মৃত আশিষ কুমার গোস্বামির স্ত্রী মালতি চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি এই মর্মে সংবাদ সম্মেলন করছি যে, আমার স্বামীর নিজের ভাই প্রদীপ কুমার গোস্বামি আমার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় প্রায় সময় জমি জমা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করে আসছিলো। আমার স্বামী আশিষ কুমারের মৃত্যুর পর আমি আমার দুই কন্যা হৈমন্তি গোস্বামি ও অনন্যা গোস্বামিকে নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করে আসছি। বর্তমানে আমার দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামী তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ও ক্রয়কৃত জমি রেখে মারা যান। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমি সেই জমি চাষাবাদ করে আসছি। সম্প্রতি কিছুদিন যাবৎ আমার স্বামীর নিজের ভাই প্রদীপ গোস্বামি ও তার ছেলে কৌশিক কুমার গোস্বামি, তাদের সহযোগী কাকা তো ভাই প্রবীর কুমার গোস্বামি,গোবিন্দ গোস্বামি ও তাদের স্ত্রী মামনী গোস্বামি ও কল্পনা গোস্বামি দলবদ্ব হয়ে রাতের আধারে আমার রোপনকৃত বোরো ধান নষ্ট করার সড়যন্ত্র করে আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে ধান কেনে আমার খুলিয়ানে নিয়ে আসি। সেই ধান বর্নিত আসামীগন জোর পূর্বক খুলিয়ান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আমি ও আমার মেয়েরা বাঁধা দেই। আসামীগন আমাদেরকে বিবস্ত্র করে মার ডাঙ্গ করে আমাদের ধান লুট করে নিয়ে যায়। আমরা ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করলে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ১নং আসামী কৌশিক কুমার গোস্বামীকে ব্যাতি রেখে বাকী আসামীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা করেন। তারা সকলে কোট থেকে জামিন পেয়ে বাড়ীতে এসে আমাকে ও আমার মেয়েদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি প্রদান করছে। আমি একজন বিধবা অসহায় নারী। তারা সংখায় অনেক বেশি ও শক্তিশালী তারা যেকোন সময় আমাদের উপরে হামলা করে ক্ষতিসাধন করতে পারে। আমরা কোন ভাবেই পেরে উঠতে পারবো না।
তাই অদ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি ও আমার মেয়েদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে ১ নং আসামী কৌশিক কুমার গোস্¦ামী একজন দুর্ধর্ষ ব্যাক্তি সে ইতপূর্বে আমার ছোট মেয়ে জামাই অমিতাভ চক্রবর্তী রঞ্জনকে মেরে তার পা ভেঙ্গে দিয়েছিলো। যা এখন পর্যন্ত কোটে মামলা চলমান। কৌশিক কুমার গোস্বামি এখন পলাতক। আমরা চাই তাকে দ্রæত আইনের আওতায় নেওয়া হোক। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের কাছে এটা আমাদের দাবি। সংবাদ সম্মেলনে মালতি চক্রবর্তীর দুই মেয়ে হৈমন্তি গোস্বামি ও অনন্যা গোস্বামি উপস্থিত ছিলেন।