এস এম রাফি ২১ জুন ২০২৩ , ১০:৪২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৪ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে পুন:নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মো. মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। ভোট গণনা শেষে রাত পৌণে ৯টায় রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় রিটার্নিং অফিসার জানান, জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৭ ভোট।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এই নির্বাচনে মোট ১৫৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। সকল ভোটকেন্দ্রের বুথগুলোতে স্থাপন করা হয় ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) সদস্যরা।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে বুধবার বিকেলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর রাজশাহী সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. মুরশিদ আলম (হাতপাখা) নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত ছিলেন।