সদরুল আইন, স্টাফ রিপোর্টার ১২ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:১৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
গত বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রী হিসেবে বিসিবি প্রধানের নাম ঘোষণার পর আলোচনা শুরু হয় সভাপতির পদ কী ছেড়ে দেবেন পাপন। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন নতুন সভাপতি?
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পর জানালেন কে হবেন পরবর্তী বিসিবি প্রধান।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পাপন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও বিসিবি সভাপতির পদ একই সঙ্গে চালানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা।
কথা হচ্ছে একসঙ্গে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা এটা অস্বাভাবিক কিছু না।’
নতুন বিসিবির সভাপতি নিয়োগে তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন। বিসিবি প্রধান আরও বলেন, ‘এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন।
সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে।
তবে অপশন কি কি আছে। একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।’
বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম। এছাড়াও গুঞ্জন চলছে সাকিব আল হাসানকে নিয়েও।
তবে বাইরের কারো সুযোগ নেই উল্লেখ করে পাপন বলেন, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে।
তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’