চিলমারী প্রতিনিধি: ২২ জুন ২০২৪ , ৬:৩১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারীতে ভাঙ্গন কবলিত চিলমারী ইউনিয়নকে রক্ষার জন্য স্থানীয়দের উদ্যোগ ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব তীরে (শাখাহাতী,কড়াইবরিশাল) বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেও রক্ষা হলো না। যে কোন মহুত্বেই চিলমারী ইউনিয়নটি বিলীন হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
গত ২৩ ফ্রেবুয়ারী(২০২৪) কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নকে নদী ভাঙ্গন রোধে ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গাছের বান্ডাল দেন এলাকাবাসী। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা প্রবল বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাছের বান্ডালগুলো নদী গর্ভে চলে যায। এতে হুমকি মুখে রয়েছেন চিলমারী ইউনিয়নসহ পার্শবতী ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবার।
চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতীর এলাকার মাহবুবর রহমান বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসী মিলে গাছের বান্ডাল দিছিলাম তখন যদি সরকারের সহযোগিতা পাইতাম তাহলে খুব ভালো হইলো হয়। সরকার বরাদ্দ না দেওয়ার কারণে হামার গাছের বান্ডাল নদীত ভাসি গেলো।
একই এলাকার বাদশা মিয়া বলেন, সরকার যদি একটু নজর দিতো তাহলে গাছের বান্ডালটি বাচাঁনো যেতে এবং ইউনিয়নটি রক্ষা করা যেতো।ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব তীর(শাখাহাতী) যে ভাবে ভাঙ্গছে আংশকা করছি কিছু দিনের মধ্যে ইউনিয়নটি বিলিন হতে পারে। তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি তারাতারি যেন ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.ফজলার রহমান বলেন, যে ভাবে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তাতে আমার বাড়ী ঘর ভাঙ্গলে ঢাকা শহরে গিয়ে রিকশা চালিয়ে খাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবেনা।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, গাছের বান্ডালের দুই পাশে ৫০ ফিট লম্বা ৬টি জিও ব্যাগ দিয়ে নদীর গতি রোধ করার জন্য সরকারী ভাবে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দা পাওয়া যেতো তাহলে
বাম্বু বান্ডেলিংক প্রযুক্তিটি কাজে লাগতো। সরকারি কোন সহায়তা না পাওয়ায় আজ বান্ডালগুলো নদী গর্ভে চলে গেলো। সরকারী ভাবে যদি বরাদ্দ পাওয়া যায় তাহলে চিলমারী ইউনিয়নটিকে বাঁচানো যাবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো রুকুজ্জামান শাহীন জানান,বান্ডালটি নদী গভে চলে যাওয়ায় কথা আপনার কাছে শুনলাম। আমি চেষ্টা করছি ভাঙ্গন রোধে সরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্য।
উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান,কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বছরের বন্যায় ১৩৫ টি পরিবারের বসতভিটাসহ ১ হাজার একর আবাদি জমি নদীর গর্ভে চলে যায়।
চিলমারী ইউনিয়নটি চরটি পুরোনো হওয়ায় নয়ারহাট এবং অষ্টমীর চর ইউনিয়নে নদীতে বসতভিটা হারা সহায় সম্বলহীন মানুষেরা বসবাস করে আসছেন। নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারি সহায়তা না পাওয়া হতাশ চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজার পরিবার। চরের জমি চাষাবাদ করে খাদ্য উৎপাদন করে থাকেন এই ইউনিয়নের কৃষকরা।