এস এম রাফি ৫ জুলাই ২০২৩ , ২:০৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সামান্য বৃষ্টিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বাসা বাড়িতে পঁচা দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি ঢুকার পাশাপাশি পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চলাচলকারী জনসাধারণ চরম ভোগান্তি পড়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখাযায়, গত কয়কদিনের সামান্য বৃষ্টিতে উপজেলায় কিশলয় বিদ্যানিকেতন মাঠ, সিনিয়র ফাযিল মাদরাসা মাঠ, সরকারি কলেজ রোড, কেন্দ্রিয় গোরস্থান রোড, ভূরুঙ্গামারী হাট, সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাগভান্ডার গামী সড়কসহ বাসস্ট্যান্ড থেকে ধলডাঙ্গাগামী রাস্তার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রাস্তায় চলাচলকারী জনগণ পড়েছে চরম বিপাকে। কাঁদা জলে এক হয়ে নষ্ট হচ্ছে পড়নের জামা কাপড়।
রাস্তায় পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। আর এসকল গর্তে রিকসা ,ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন উল্টে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
কামাতাঙ্গরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন ভূরুঙ্গামারী থেকে ধলডাঙ্গাগামী রাস্তার আমার বাড়ির সামনে দুই দিন অটো রিকসা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কিশলয় বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক নুর ইসলাম জানান, কিশলয় বিদ্যানিকেতনের মাঠসহ গোটা এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট ছিলো। একজন প্রভাবশালী কালভার্ট বন্ধকরে বাড়ি নির্মাণ করায় এখন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন রকম অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউপি সদস্য এরশাদ হোসেন জানান, আগে পানি নিস্কাশনের জন্য ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট ছিলো। স্থানীয় লোকজন এসকল ব্রিজ ,কালভার্ট বন্ধ করে বাড়ি নির্মান করায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বলেন আমিতো নতুন এসেছি। তবে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। সামনে মিটিয়ে বিষয়টি উত্থাপন করে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার চেষ্টা করব। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী জানান, স্থানীয় জনসাধারণের অসচেতনতার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা যদি ড্রেন, কালভার্টের মুখ গুলো খোলা রেখে বাড়িঘর নির্মাণ করতো, তাহলে এসমস্যার সৃষ্টি হতোনা। তিনি জানান, জলাবদ্ধাতা দুরকরণে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এগুলো বাস্তবায় হলে সমস্যার লাঘব হবে ।