এস এম রাফি ১০ মে ২০২৩ , ১১:২৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের (দেবীকুড়া) গিরাই খাল এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নে মধ্য বৈশাখের বৃষ্টি মৌসুমে খাল খনন কাজ শুরু করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নেই নির্দেশনা বোর্ড। বৃষ্টি মৌসুমে খননের নামে সরকারী অর্থ হরিলুটের অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা যায়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ভূ-পরিস্থ পানি সর্বোত্তম ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের তালিকায় নাম না থাকার পরেও বিএমডিএ নাগেশ্বরী উপজেলা অফিসের আওতায় নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের (দেবীকুড়া) গিরাই খাল ১২কিলোমিটার এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নে ৭কিলোমিটার খাল খনন কাজ শুরু হলেও মনোয়ার হোসেন লিটনসহ কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নেই কোন নির্দেশনা বোর্ড। সোমবার খাল খনন পরিদর্শনে আসেন রংপুর বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান খান (চলতি দায়িত্ব)। খনন কাজের বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান বিএমডিএর নাগেশ্বরী উপজেলা অফিসের সহকারী মেকানিক ও ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাহিদ আলী এবং পরিদর্শনে আসা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) ও প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান খানও। খনন কাজে অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে। খনন সংক্রান্ত তথ্য গোপন রেখেই নয়-ছয় করে বৃষ্টির মৌসুমে নামমাত্র খাল খনন করে সরকারী অর্থ হরিলুট করার কৌশল করছেন বিএমডিএর কর্মকর্তারা। খাল খনন কাজ ২৯এপ্রিল শুরু হলে ৩০এপ্রিলই বৃষ্টি পানিতে খাল ভরাট হয়ে যায়। অপরদিকে প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খানের মৌখিক নির্দেশে ১৪নং গ্রেডভুক্ত কর্মচারী নাহিদ আলীকে অপকর্মের উদ্দেশ্যে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। নাহিদ আলী তার পূর্বের কর্মস্থলগুলোতে একইভাবে অপকর্মে জড়িত থাকারো তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ব্যাক্তি সবুজ আলী, খালেক, মালেক, হরিপদ, নিপেন জানায়, এখন বৃষ্টি মৌসুম শুরু হচ্ছে গিরাই নদী পানিতে ভরে যাবে। সঠিকভাবে খাল খনন কাজ শেষ করতে পারবে না। এই ভাবেই সরকারী দপ্তরগুলি উন্নয়ন কাজের নামে সরকারী অর্থ ঠিকাদারের সাথে ভাগ-বাটোয়ারা করে স্বার্থ হাসিল করেন। গত অর্থ বছরের বোয়ালের ডাড়া গিরাই নদীতে একইভাবে নামমাত্র খনন করে প্রকল্পের অর্থ ঠিকাদারের সাথে ভাগ-বাটোয়ারা করেছে। সহকারী মেকানিক নাহিদ আলী প্রকল্প পরিচালকের আত্মীয় হওয়ায় সে অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকলেও বিএমডিএ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করে না।
বিএমডিএর নাগেশ্বরী উপজেলা অফিসের সহকারী মেকানিক ও ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাহিদ আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
ঠিকাদারমনোয়ার হোসেন লিটনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম হয়েছে তো কি। বন্যাতো আর আসেনি। বিএমডিএ অফিসের নির্দেশনা দেরিতে পাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করেছি।
নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের (দেবীকুড়া) গিরাই খালপরিদর্শনে আসা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) ও প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান খানের সাথে খনন কাজের বিষয়ে তথ্য চাইলে তিনি তথ্য না দিয়েই চলে যান।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।