এস এম রাফি ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) । ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে ১৪৪ ধারা ভেঙে বাংলা ভাষা রক্ষার আন্দোলনে নেমে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন। তাদের সাহসিকতা ও বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ওই দিন মায়ের ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল বাঙালি জাতি।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এর স্বীকৃতি দেয়। দিনটিকে ঘিরে দেশজুড়ে থাকছে নানা আয়োজন। দিনের প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শুরু হবে।
সারা দেশের সব শহীদ মিনারেও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন সাধারণ মানুষ। রাত ১২টা এক মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হবে।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মঙ্গলবার সরকারি ছুটি থাকবে। দিনটিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। উত্তোলন করা হবে কালো পতাকা।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ভাষা আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন। ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে আসে বাঙালির চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ দিবসের বাণীতে বলেছেন, বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। এই আন্দোলন যুগে যুগে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে।
এ ছাড়াও দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলো নানান কর্মসূচি পালন করবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে সংগঠনের সব শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায় কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরীসহ আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহীদদের কবরে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে দলটি। বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশেষ এই দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।