চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:২০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
শীতের তিব্রতায় আবারও তাপমাত্রা নেমেছে ৭
দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এতে উপজেলার ওপর দিয়ে আবারও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরুতে এমন ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষজন। গতকাল থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করায় বাড়ছে ঠান্ডার প্রকোপ। শীতের তিব্রতায় ইরি- বোরো আবাদেও প্রভাব পড়ছে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে চারা রোপণে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অর্জিত হয়েছে ৮২০ হেক্টর।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ফলে কাজ কর্মের উপযুক্ত সময় বসে থাকছেন হচ্ছে শ্রমজীবীরা।
দিনের অধিকাংশ সময় মিলছে না সূর্যের দেখা । বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নেমে যাচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে চরাঞ্চলের মানুষজন সহ অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত, শীত নিবারণে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার ৫০ জন শীতার্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে সব কয়েকটি ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে ৪ হাজার ৫০ টি কম্বল বিতরণ করেছি। কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে বরাদ্দ আসলে আবারো বিতরণ করা হবে। আমরা চাই কোন দরিদ্র লোক যেই এই শীতে কষ্ট না করে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ অবস্থা আরো দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।