বিএনপির কর্মসূচি

মানববন্ধন কর্মসূচি নিয়ে যা বললেন রিজভী

  অনলাইন ডেস্ক ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:৫০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারের পদত্যাগ, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ অনান্য দাবিতে ১০ দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। তবে আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধন কমর্সূচির ঘোষণা করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি জাতীয় প্রেসক্লাবে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। এ সময় দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গুম-খুন, নির্যাতন, নিপীড়িনের শিকার পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন সফল করার আহ্বান জানান রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, আগামী রবিবার সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপি মানববন্ধনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়ে ফুলেফেপে একেকজন কলাগাছ থেকে বটগাছ বুনে গেছেন। লুটের টাকা পাচার করে ইউরোপ, সুইজারল্যান্ডে স্বর্গরাজ্য বানিয়েছেন। সেখান থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে তারা অবাক, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চান না। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে চান না।
রিজভী বলেন, আজকের অনাচার, অবিচার, সম্পদ পাচার এবং লুটপাটের পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছেন। শুধুমাত্র গোটা দেশটাকে লুটেপুটে খাবার জন্য। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে শুধুমাত্র কাগজে প্রতিষ্ঠানগুলো রেখে আওয়ামী লুটপাট ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো জনগণের সাথে আরেকটি বড় ধরনের ধাপ্পাবাজি করতে যাচ্ছে সরকার। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের শত্রু, আওয়ামী সরকার জনগণের শত্রু, তারা বাক স্বাধীনতার শত্রু। তারা ক্ষমতায় থেকে অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায় সঙ্গত নির্বাচন হতে পারে না। এই কথা সারাদেশের মানুষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্বাস করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান প্রবর্তন করে তার মাধ্যমে একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সকলের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। কারণ সেখানে শেখ হাসিনার কারচুপি করার সুযোগ থাকবে না। সেই নির্বাচনে নৈশকালীন নির্বাচন হবে না, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন হবে না।

এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা সদরে (১০ ডিসেম্বর) মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। কর্মসূচিতে দলটি গুম, খুন, গায়েবী মামলায় গ্রেফতার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার দলীয় নেতাকর্মী ও নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।