এস এম রাফি ৭ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো এবার বাধা দিয়েছে।
বলেছে ওই ১৪ এবং ১৮ সালের নির্বাচন আর চলবে না। এবার একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণকারী নির্বাচন হতে হবে। তাই সরকার বলতে শুরু করেছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন খেলা হবে। তো খেলবেন কী, কার সঙ্গে খেলবেন?
যাদের সঙ্গে খেলবেন তাদের সবাইকে তো জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন? অর্থাৎ সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করা, বোকা বানানোর চেষ্টা করা এবং খালি মাঠে ওয়াকওভার নিয়ে আবার সরকার গঠন করা।
এটা করার জন্য এবার বাধা এসেছে। পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো এবার বাধা দিয়েছে। বলেছে, ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন আর চলবে না। এবার একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণকারী নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, তাই সরকার বলতে শুরু করেছে আমরা নির্বাচন করবো। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবো। সেভাবেই নির্বাচন হবে এবং সেটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।
আজকেও কিছুক্ষণ আগে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করে একই কথা বলেছেন। আপনারা বারবার বলেন যে, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে এমন কথা বলেছেন যা মুখেও আনা যায় না।
অশালীন ও অরুচিকর কথা। এটা পরিষ্কার, আপনি তার (খালেদা জিয়ার) মৃত্যু চান। আপনি যে তাকে হত্যা করতে চান, এটা পরিষ্কার। যে আর কতো বাঁচবে। এবার আপনাকেও গুনতে হবে। আপনি আর কতো দিন ক্ষমতায় টিকে থাকবেন।
মানুষ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি বলেন, যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই অতি দ্রুত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোকে নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়ার জন্য স্পেশাল সেল তৈরি করেছে।
তারা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছে, অতি দ্রুত বিচার শেষ করো। দুই মাসের মধ্যে শেষ করো। পুলিশদেরও বলেছে, যেগুলো চার্জশিট হয়নি।
চার্জশিট তৈরি করো। অতি দ্রুত। এটার নাম হচ্ছে তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন। আওয়ামী লীগ আগের দুটি নির্বাচনের মতো ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও একই কায়দায় নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।