স্টাফ রিপোর্টার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ , ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় মোশারফ হোসেন রঞ্জু নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিলখুড়ি ইউনিয়নে জেলা পরিষদের সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করার অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পেয়েছেন প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বছরের ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলারহাট বাজারের তহশীল অফিস সংলগ্ন উত্তর ছাট গোপালপুর মৌজার দশমিক শূন্য এক একর জমি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাংলা ১৪২০ সনের জন্য লিজ নেন শিলখুড়ি ইউনিয়নের ওই যুবলীগ নেতা। সেই লিজের মেয়াদ ১ যুগ আগে শেষ হলেও সরকারি জায়গাটি নিজের দখলে রেখেছেন ওই নেতা । নতুন করে লিজ না নিলেও সরকারি জমিতে তার দোকান ঘরের দেয়াল ও ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে একত্রিত করে আরসিসি পিলার দিয়ে অবৈধ পাকা স্থাপনা নিমার্ণ করে দখলে নেন ।
অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি ) তাহমিদুল ইসলাম ভূমি অফিসের পাকা বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙ্গার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি (মোশারফ) জেলা পরিষদ হতে লিজ গ্রহণ করে ১৪২০ বাংলা সন পর্যন্ত লিজমানি পরিশোধ করেছেন।
পরবর্তী সময়ে লীজ নবায়ন বা অবকাঠামো নিমার্ণের অনুমোদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পাকা স্থাপনা ভাঙ্গাসহ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পরিষদে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর সরজমিনে তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ইউএনও কে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । অভিযোগের সত্যতার প্রতিবেদন পেয়েছি। ডিসি স্যারকে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।