এস এম রাফি ৩০ এপ্রিল ২০২৩ , ৮:৪২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরির টাকা ও ভূয়া নাম ব্যবহার এবং (নগদ একাউন্ট) মোবাইল সিম জমা নিয়ে টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ৪ জন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার সকালে প্রকল্পের শ্রমিকরা রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিমের নিকট পৃথক পৃথক ভাবে ৪টি লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজারহাট সদর ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি( ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৮১জন শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি হিসাবে কাজ করেন। গত ২১ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে শ্রমিকদের ১২৮০০ শত টাকা মজুরী প্রদান করা হলে ওই ৪ জন ইউপি সদস্য ওইসব শ্রমিকদের কাছ থেকে নগদ একাউন্ট (মোবাইল সিম) জমা নিয়ে সব টাকা উত্তোলন করে তা আত্নসাৎ করে। এছাড়াও তারা ভূয়া নাম যেমন বউ,ছেলে-মেয়ে, চাচা-চাচী এমনকি জামাইর নাম ব্যবহার করে টাকা আত্নসাৎ করে আসছে।
এর মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আশরাফ আলী ২৬ জন শ্রমিকের মজুরীর ১২৮০০ টাকা করে মোট ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮০০টাকা ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শদীদ হোসেন ২০ জন শ্রমিকের মোট ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজল রায় ৪০জন শ্রমিকের মজুরীর ৫লাখ ১২ হাজার টাকা আত্নসাৎ করেছে। এছাড়া ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হযরত আলী প্রকল্পের ৫০ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৯টি ভূয়া নাম ব্যবহার করে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সজীবুল করিম বলেন ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পের সভাপতি ইউএনও স্যার এ বিষয়টি তিনি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম ও ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পের সভাপতি বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করা হবে সত্যতা মিললে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#