কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ১৩ জুন ২০২৪ , ৮:৩৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কর্মসূচীর বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারের ৫ টি গোডাউন সদৃশ দোকানঘর থেকে এসব চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) তানভীর আহমেদ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) লুৎফর রহমান এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আতাউর রহমান মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরকারি সিলযুক্ত পাটের বস্তা এবং প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা প্রায় ২৭৯ বস্তা চাল জব্দ করা হলেও চালের পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেননি এই দুই কর্মকর্তা।
জব্দ চালের একটি সিজার লিস্ট এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ইউপি সচিব আতাউর রহমান মন্ডল, ট্যাগ অফিসার আবুল হোসেন এবং মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম স্বাক্ষরিত ওই তালিকায় দেখা গেছে দোকানঘর হতে জব্দকৃত ১২২ বস্তা চাল পরিষদের স্টোরে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও দুটি দোকানঘরে ১৫৭ বস্তা চাল সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিষদ চত্বরে চাল বিতরণে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন অফিসার আবুল হোসেন জানান, পরিষদে চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না। ট্যাগ অফিসার পরিষদে পৌঁছার আগেই চাল বিতরণ শুরু করে মাসুদ নামে এক যুবক। একটি ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা কয়েক বস্তা চাল আটক করে। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাজারে অভিযান চালান। এসময় বাজারের গোডাউন সদৃশ কয়েকটি দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতর থেকে দুই শতাধিক বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়।
ট্যাগ অফিসার বলেন, ‘যে চালগুলো উদ্ধার হয়েছে সেগুলোর কিছু সরকারি বস্তায় এবং কিছু প্লাস্টিকের বস্তায় ছিল। সেখান থেকে ১২২ বস্তা চাল উদ্ধার করে পরিষদের স্টোরে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু চালের বস্তা দোকানঘরে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। তবে তার পরিমাণ আমার জানা নেই।’
৪ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম বলেন, ‘মোট ২৭৯ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (কারেন্ট) এবং সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু মেলে ভিজিএফ কর্মসূচীর এসব চাল বিতরণ করেছেন। আজ চেয়াম্যান উপস্থিত ছিলেন না। তার চাচাতো ভাই মাসুদ চাল বিতরণ করছিলেন।’
বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল জব্দের বিষয়ে জানতে মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (কারেন্ট) এর নাম্বারে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘ বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। মামলা হবে। যে বা যারাই জড়িত থাক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’