রাবি প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ৯:২৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন খাবারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সাথে সাথেই খাবারের মান ও পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দোকানীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দোকানগুলোতে খাওয়ার পর এই অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, খাবারের দাম কমানোর সাথে সাথে মান ও পরিমাণ দুটোই কমিয়েছে দোকানীরা। অন্যদিকে দোকানীরা বলছেন, নির্ধারিত মূল্যে তারাও সন্তুষ্ট নন। তাই, বাধ্য হয়েই খাবারের পরিমাণ কমানো হয়েছে।
খাবারের মান বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, দোকানগুলোতে খাবারের দাম কমেছে, কিন্তু পরিমানটাও কমেছে। চপে ডিমের পরিমাণ কমে গেছে। আগে একটা ডিমে ৪ টা চপ বানাতেন, সেখানে এখন একটা ডিমের ৬ থেকে ৮ টা চপ বানাচ্ছেন। পিয়াজু, সিঙ্গারা আগে থেকে ছোট হয়ে গেছে। চায়ে চিনির পরিমান কমে গেছে। ভাতের মান ও পরিমাণ কমে গেছে।
একই কথা বলেন আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত। তাদেরও অভিযোগ, দাম কমিয়েছে ঠিক আছে, কিন্তু খাবারের পরিমাণটাও কমিয়ে দিয়েছে দোকানীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুকিটাকি চত্বরের সুরুজ হোটেলের হাসমত আলী বলেন, তিনি প্রশাসনের দেওয়া মুল্যতালিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তাই, বাধ্য হয়েই খাবারের পরিমাণ কমিয়েছেন।
বিভিন্ন পন্যের ক্রয়মূল্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তেল ১৭০ টাকা কেজি, ময়দা ৪৫ টাকা কেজি। নির্ধারিত দামে কী করে বেচবো? কেরোসিন ১২০ টাকা লিটার, চাল ৬৫- ৭০ টাকা। ১০ টাকা প্লেট ভাত কিভাবে বিক্রি করবো?
সিরাজী ভবনে সামনের সাজ্জাদ হোটেলের মালিক সাজ্জাদ সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ১৬০ টাকা কেজি চিনি কিনে ৫ টাকা করে চা বিক্রি করতে পারবেন? ১১ টাকায় ডিম কিনে সেটা ১৫ টাকা বিক্রি করতে পারবেন? ১৯০-২০০ টাকা দিয়ে মুরগী কিনে ১৫ টাকা পিছ বিক্রি করতে পারবেন?
এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, দোকানদার এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একসাথে বসেই আমরা নতুন মূল্যতালিকা তৈরী করেছি। এখন যদি কোনো দোকানদার বলে যে, সে মূল্য তালিকা মানতে রাজিনা, তাহলেতো হবেনা। আজ কেবল দুইদিন হলো। কেউকেউ সাইজ বা, পরিমাণ কমাতে পারে। এস্টেট দপ্তরকে বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত তদারকি হলে, এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।