রাবি প্রতিনিধি ২৪ নভেম্বর ২০২৩ , ৮:২১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আংশিক শুনেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে হলে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে অস্ত্র আছে প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে মতিহার হলের ক্যান্টিনে খাবার খেতে বসা নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শান্ত এবং ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। শান্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামদা নিয়ে জাহিদের ওপর আক্রমণ করেন শান্ত।
তখন উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তবে দারোয়ান ও শিক্ষার্থীরা মিলে শান্তর কাছ থেকে দা কেড়ে নেন। এ ঘটনার পর জাহিদ বিভাগের সহপাঠীদের ডাকলে আরেক দফা উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিবহন মার্কেটে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাকী।
তখন উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের সঙ্গে দুই দফায় মতিহার হল এবং বঙ্গবন্ধু হলে বসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি।
মারধরের অভিযোগ তুলে বাকী জানান, আমার তিন ছোটভাইকে মেরে হল থেকে বের করে দিচ্ছিল। এ খবর জেনে তাদের সঙ্গে পরিবহন মার্কেটে বসি।
তখন ভাস্কর সহার নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। ফলে আমি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ঘটনাটি সমাধানে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসেছি। উভয়ের বক্তব্য শুনে সমাধানের চেষ্টা করছি। এছাড়া অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।