অপরাধ

রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

  রাবি প্রতিনিধি: ১২ মে ২০২৪ , ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত সাতজন আহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। উভয়পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করছি।

জানা গেছে, ১১ মে রাত ১০টার পর শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে কর্মীদের নিয়ে দলীয় আলোচনা করছিল এই হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান। তিনি বর্তমান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। আলোচনাকালে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারন নিয়াজ মোর্শেদ ও তার অনুসারীরা গেস্টরুমে আসেন এবং তাদের চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের শতাধিক নেতাকর্মী হলে আসেন এবং নিয়াজের বিরুদ্ধে হলে মিছিল শুরু করেন। রাত ১২টার পর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের বাহিরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয় এবং ককটেল বিস্ফোরণ করতে থাকে। নিয়াজ মোর্শেদের নেতাকর্মীরা হলের ভেতরে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পাল্টা ইটপাটকেল ছুঁড়েন বাহিরের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ঘন্টা ধরে সংঘর্ষ চলার একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে নেতাকর্মীদের সরিয়ে নিতে বলেন। তখন তারা মাদার বখস হলের সামনে অবস্থান নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করেন। তবে এখন পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, আহতরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হাসিব, তানভীর ও সানি সহ আরো অনেকে।

এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, হলে বহিরাগত এনে শিবিরের কায়দায় রেললাইনের ইটপাটকেল ও ককটেল ছুঁড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওপর হামলা করেছে নিয়াজ মোর্শেদ। এতে আমাদের এখন পর্যন্ত ৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা হামলার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশকে জানিয়ে অবস্থান নিয়েছি৷